Site icon suprovatsatkhira.com

দক্ষিণ-পশ্চিমের মাঠে মাঠে হলুদের ছোঁয়া

যশোর প্রতিনিধি: দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কুষ্টিয়ার মাঠের পর মাঠ সরষে চাষ হয়েছে। এবার কৃষক ও সংশ্লিষ্ট অফিস বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
হেমন্ত ও শীত ঋতুতে সরষে চাষ হয় থাকে। এই এলাকায় চাষ হওয়া সরষে দেশের মোট চাহিদার বড় একটি অংশ পূরণ করে।
প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সরষে ফুলের অপূর্ব হলুদ শোভার চোখ জুড়ানো দৃশ্য; ফুলের মন মাতানো সুবাস বইছে বাতাসে।
চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলের জেলাগুলোতে মোট ৫১ হাজার ৯৭৫ হেক্টর জমিতে সরষে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিপরীতে চাষ হয়েছে ৪৪ হাজার ৮৫২ হেক্টর জমিতে। এবছর সাত হাজার হেক্টর জমিতে সরষে চাষ কম হওয়ার কারণও দেখিয়েছেন কৃষি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
কৃষকরা জানিয়েছেন, আমন ধান উঠার পর বোরো রোপণের আগে জমি পড়ে থাকে। এ সময়ে সরষে চাষ করা হয়। ফলে একদিকে যেমন তেলের চাহিদা মিটিয়ে অর্থনৈতিকভাব লাভবান হওয়া যায়, অন্যদিকে জমিতে জৈব সারের ঘাটতি পূরণও সহজ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর আঞ্চলিক অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর যশোর জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার ৫৯৬ হেক্টর। চাষ হয়েছে নয় হাজার ৭৭৫ হেক্টরে। ঝিনাইদহে নয় হাজার ৪৫৬ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছে নয় হাজার ৫১৫ হেক্টরে। মাগুরায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল দশ হাজার ৯৯৯ হেক্টর। চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৫৯০ হেক্টরে। কুষ্টিয়ায় সাত হাজার ৬৪৭ হেক্টর লক্ষ্য থাকলেও চাষ হয়েছে ছয় হাজার ৭৫০ হেক্টরে। চুয়াডাঙ্গায় চার হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। চাষ হয়েছে দুই হাজার ২২২ হেক্টরে। আর মেহেরপুরে পাঁচ হাজার ১৫২ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও চাষ হয়েছে চার হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে।
যশোর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক চন্দি দাস কুন্ডু জানান, গত কয়েক বছর ধরে এ অঞ্চলে সরষে চাষ বাড়লেও এ বছর তা কমেছে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এবছর এ এলাকায় ভুট্টা চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল সরষের আবাদ ভালো হওয়ায় গত বছরের থেকে এবার বেশি ফলনের আশা করছেন তিনি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version