Site icon suprovatsatkhira.com

কেশবপুরে পান চাষ বৃদ্ধি

যশোর প্রতিনিধি: পান চাষ লাভজনক হওয়ায় যশোরের কেশবপুর উপজেলায় পান চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেশবপুর শহরে সপ্তাহে শনি, সোম ও বুধবারে পানের হাট বসে। বিভিন্ন অঞ্চলের পান ব্যবসায়ীরা কেশবপুর বাজারের পান হাট থেকে পান ক্রয় করে রাজধানী ঢাকাসহ বিদেশেও রপ্তানি করে। ফলে পান চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
পান চাষিরা জানান, গত বছর জলাবদ্ধতা থাকায় অনেক বরজ পানিতে তলিয়ে ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। এ বছর জলাবদ্ধতা না থাকায় পান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন অনেক কৃষক।
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, পানের বরজ। মাঠের পর মাঠ পানের বরজ। উপজেলার চালিতাবাড়িয়া. শ্রীরামপুর, সাঁগরদাড়ি, কোমরপুর, মঙ্গলকোট, আলতাপোল, ব্রহ্মকাটি, রামচন্দ্রপুর, মধ্যকুল, পাঁজিয়াসহ অনেক গ্রামে এ পান চাষ হয়।
ব্রহ্মকাটি গ্রামের তারিফ মোড়ল ও হযরত আলী জানান, গতবছর জলাবদ্ধতার কারণে পান বরজে হালকা পানি উঠায় আমরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখিন হয়ে পড়েছিলাম। এবছর জলাবদ্ধতা না থাকায় বরজে ব্যাপক ফলন হয়েছে। বাজারে পানের দামও যথেষ্ট ভাল পাওয়া যাচ্ছে।
তাদের মতে, দেড় থেকে দু’বিঘা জমিতে পানের বরজ থাকলে এবং তার সঠিক পরিচর্যা ও সংরক্ষণ করতে পারলে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
কোমরপুর গ্রামের পান চাষী রমজান আলী জানান, গত বছর কপোতাক্ষ নদের উপচে পড়া পানিতে আমার প্রায় ২ শতক জমির পান নষ্ট হয়েছিল। যার কারণে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম। এবছর জলাবদ্ধতা না থাকায় পানের বরজে শুধু ফলন আর ফলন ধরেছে। পান বিক্রি করে সংসার চালানোসহ ছেলে-মেয়েদের পড়া শোনার খরচও চালিয়ে যাচ্ছি ভালোভাবে।
পান চাষী আবদুল মালেক, আনন্দ রায়, রবীন দাস, গোবিন্দ রায়, গৌর পদ দাস, গোলাম মোস্তফা, আলা উদ্দীন আলী, আবদুল খালেকসহ অনেকেই জানান, আমরা কেশবপুরে প্রতি হাটবারে পান বিক্রি করি। আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা তা কিনে রাজধানী ঢাকাসহ বিদেশেও রপ্তানি করে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, কেশবপুর উপজেলায় কৃষকরা ২৪৭ হেক্টর জমিতে পান চাষ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এবছর বেশির ভাগ কৃষক পান চাষ করেছেন। তিনি মাঝে মধ্যে এসব এলাকায় ঘুরে পান চাষী কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version