খুলনা অফিস: খুলনায় জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। টানা তিনদিন ধরে শীতের প্রচন্ড তীব্রতা অনুভব করা যাচ্ছে।
এদিকে শীত জেঁকে বসায় শংকিত হয়ে পড়ছেন নিম্নআয়ের মানুষরা। শীত মৌসুমের প্রথমে কিছুটা কম থাকলেও গত দু’দিনে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ার কারণে শীত জেঁকে বসেছে ও মৃদু বাতাস বইছে। শীতের কামড়ে কাবু হয়ে পড়েছে মানুষ।প্রচন্ড শীতের কারণে খুলনার মানুষের জনজীবন থমকে পড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ ও মৃদু বাতাসের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। তীব্র শীতের কারণে গরম কাপড়ের ব্যবসায়ীরা ক্রেতার সাড়া পাচ্ছেন। তবে বিপাকে পড়েছেন সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় থাকা প্রার্থী ও তার সমর্থকরা। তারা বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শীতের মধ্যেও চালাচ্ছেন গণসংযোগ।
খুলনার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, প্রচন্ড শীতের কারণে হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হাসপাতালে আসছে শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের লোকজন। প্রতিদিন তাদের সংখ্যাও বাড়ছে। শীতের তীব্রতা আরো কয়েকদিন একই অবস্থায় থাকলে শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরকারি চাকরিজীবী হারুনুর রশীদ বলেন, পৌষের প্রারম্ভের এমন বৃষ্টি জাঁকিয়ে বসায় সকালে অফিসে যেতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।
তিনি জানান, হাড় কাঁপানো শীত কিছুক্ষণের জন্য সূর্য উঁকি দিলেও তাতে তেমন তেজ নেই। দিনভর বাতাসে শীতের দাপট। বেলা গড়াতেই বাড়তে থাকে ঠান্ডা। ঘর থেকে বেরোলেই শরীরে কাঁপন ধরায়। শীত ও ঘন কুয়াশায় কাবু জনজীবন।
অপরদিকে নগরী ঘুরে দেখা গেছে, শীতের আক্রমণে মানুষ রীতিমতো জবুথবু। গায়ে গরম কাপড় ও টুপি পরে তারা শীতের দাপট থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও বস্তিগুলোর সামনে ছিন্নমূল মানুষ কাগজ-খড়কুটো পুড়িয়ে একটু উষ্ণতা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। খেটে খাওয়া মানুষ পাচ্ছেন না ঠিক মতো কাজ।
হতদরিদ্র মতিউর রহমান বলেন, গরিবের জন্য এ দুনিয়ায় কেউ নাই। প্রতিবারই কম্বল পাই। এবার তোও কেউ দেয়নি। আল্লাহ কপালে রাখলে বাঁচমু, আর না হইলে শীতের মইধ্যেই একদিন মইরা যামু।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’র প্রভাব ও পুরোপুরি শীত মৌসুম চলে আসায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি কমছে। বুধবার খুলনার তাপমাত্রা ১৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি জানান, শীতের তীব্রতা দিন দিন বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে নেমে আসবে শৈত্যপ্রবাহ।