Site icon suprovatsatkhira.com

যশোরে তালাকপ্রাপ্ত কিশোরীর অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

যশোর অফিস: অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তালাকপ্রাপ্ত কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে ওই কিশোরী পরিবার মামলা তুলে নেয়ার জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করছে। ভুক্তিভোগী এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রশাসনের উর্ধতন কর্তপক্ষের নিকট হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের ওই কিশোরী নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা করেছেন। মামলার আসামি আজিজুর রহমান একই উপজেলার রামেশ^পুর গ্রামের আ. রশিদের ছেলে। বর্তমানে যশোর শহরের নীলগঞ্জ শাহাপাড়ার বসবাস করে।
মামলায় উল্লেখ করেছেন, ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে মিতুকে অজ্ঞাত পরিচয়ের লোকজন নিয়ে আজিজুর রহমান অপহরণ করে ঢাকার সাভার সিরামিক বাজারে নিয়ে আটকে রাখে। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করে। এর পর আদালতে কিশোরী জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সে অপহরণ এবং ধর্ষণের কথা উল্লেখ করেছে।
এ ঘটনায় আজিজুর রহমান জানান, ঢাকার সাভার সিরামিক বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য করার সময় ওই মেয়ের সাথে পরিচয় হয়। এছাড়া তার আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে পরিচয় থাকায় সাথে সম্পর্ক গভীর হয়।
এর মধ্যে মেয়র বিয়ে হয় লোহাগড়া উপজেলার পাচুড়িয়া গ্রামের সজীব খানের সাথে। তার মামা, ফুফাতো ভাইসহ অনেকেই আমার সাভার পাশে থাকার সুবাদে তার সাথে সম্পর্ক রয়ে যায়। গত ১৪ সেপ্টেম্বর মেয়েটি ঢাকার ফুফুর বাসা থেকে আমার দোকানে আসে। সে সাভারে থাকবে বলে জানালে তার বাবা ও মা এবং লোহাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে জানাই। সেখানে একদিন থেকে পরদিন সকালে বাড়ি চলে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। এর মধ্যে রাতেই তার বাবা মা পুলিশ পাঠিয়ে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সেখান থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে যশোর শহরের নীলগঞ্জ সুপারি বাগানে সাগর থাই অ্যালুমিনিয়ামে ব্যবসা করতে থাকি।
এর মধ্যে মেয়ের মা, বাবা এবং আত্মীয় স্বজনরা প্রায় ফোন দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করে। আর এ টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে আরো মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে।
এ ঘটনায় আজিজুর রহমান লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ কবির বিশ^াসকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তবে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে আজিজুর রহমান বলেন, তাকে কেউ ধর্ষণ করেনি। এ ব্যাপারে ডাক্তারি রিপোর্টেও পাওয়ার কথা নয়।
অপহরণ এবং ধর্ষণের ব্যাপারে আজিজুর রহমানের ইউনিয়ন কাশিপুরের চেয়ারম্যান মতিয়ারের রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজিজুর রহমানকে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। আর টাকা না দিলে অন্য মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা আর মেয়ের সাথে যোগাযোগ করে তাদেরকে পাওয়া যায়নি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version