যশোর অফিস: যশোর শহরের খড়কী শাহ আব্দুল করিম রোডে কথিত বোমা হামলা করে ‘নাশকতা চেষ্টার’ অভিযোগে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির সাত নেতাকর্মীকে আটক ছাড়াও সেখান থেকে বোমা উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।
থানার এসআই কামাল হোসেন মামলাটির বাদী। ফতেপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আঞ্জুরুল হক খোকনসহ ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।
আটককৃতরা হলেন সদর উপজেলার আগ্রাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেন, মালঞ্চি গ্রামের মেহেদী আল মাসুদ লাল্টু, আলমগীর হোসেন, জিরাট গ্রামের শরিফুল ইসলাম, তালবাড়িয়া খালপাড়ের শামসুর রহমান, বিজয়নগর গ্রামের সেলিম রেজা এবং হাশিমপুর বাজারপাড়ার ফখরুদ্দিন বিশ্বাস।
পলাতক দেখানো হয়েছে বাউলিয়ার রবিউল ইসলাম, বারিনগরের রবিউল ইসলাম, খিতিবদিয়ার আব্দুস সাত্তার, পাঁচবাড়িয়া মৌলভীবাড়ির শহিদুল ইসলাম মিলন, মনিরুল ইসলাম, লেবুতলা গ্রামের হাসান হাবিব, তেজরোল গ্রামের হাসান, কোদালিয়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম টুকু, সোহাগ হোসেন মোল্যা, এনায়েতপুর গ্রামের আব্দুর রব মোল্যা, দাউদ হোসেন, আরবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আজম, খায়রুল ইসলাম, কাজী কাশেম, খোলাডাঙ্গার সোয়েব আলী, সুজলপুরের শামসুর রহমান, নেছার উদ্দিন, রাজাপুরের হাসান, হাশিমপুরের এবিএম আলতাফ বাদল, ইছালীর কামরুামান, জোতরহিমপুর গ্রামের জাকির হোসেন, মাহিদিয়া গ্রামের মোশারফ হোসেন, ভাতুড়িয়ার একরামুল, বালিয়াডাঙ্গার ইসারত আলী, ঝুমঝুমপুরের জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, রাজাপুরের ছবদুল, হাফিজুর রহমান হাফেজ, হামিদপুরের পারভেজ, ফতেপুরের নয়ন বিশ্বাস, কায়েম, হামিদপুরের তরিকুল ইসলাম, আব্দুল খলিল, ধানঘাটা গ্রামের শামসুল হক, জিরাট গ্রামের মাসুদ পাভেজ রাসেল, গোলাম সরোয়ার, হাটবিলা জামতলার সেকেন্দার মির্জা লাল্টু, রূপদিয়ার খানপাড়ার পলাশ হোসেন খাঁ, শাখারীগাতি গ্রামের আকবর হোসেন, চিনেডাঙ্গা গ্রামের শামীম হোসেন, ঘুরুলিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন লাল্টু, ঘুরুলিয়ার সোহাগ হোসেন, গোলাম মোস্তফা, শেখহাটির শিমুল, তরফ নওয়াপাড়ার শাহীন, বিরামপুর ভাটপাড়ার আজাদ, বাহাদুরপুর গ্রামের রুহুল আমিন, পাঁচবাড়িয়ার একরামুল হোসেন, সাহাপুর পশ্চিমপাড়ার কাওসার আলী, নওদাগ্রামের মফিজ মোল্যা, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের লিয়াকত, তীরের হাটের খলিল, ছাতিয়ানতলার আবুল তালেব, তপন, আলম, বেলেডাঙ্গার হাফিজুর রহমান, এবং শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা মোড়ের লাল্টু।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে খড়কী শাহ আব্দুল করিম রোডের মাহফুজা করিমের চায়ের দোকানের সামনে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক এবং নাশকতাকারী বোমা হামলা করে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখানে গেলে আসামিরা তিনটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে ধাওয়া করে সাতজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা পলাতক আসামিদের নাম ঠিকানা বলে। পরে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত পাঁচটি বোমা, কিছু কাচের টুকরো, ১১টি জালের কাঠি (লোহার ছোট টুকরো), নয় টুকরো লাল রঙের স্কস টেপ, ১২টি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়।’
আটক সাতজনকে শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তবে স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, জেলহাজতে পাঠানো সাতজনকে পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করে। আর সংশ্লি¬ষ্ট এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা স্থানীয়রা জানেন না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, এটি একটি গায়েবি মামলা। ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ভোটের মাঠে থাকায় নেতাকর্মীদের নামে মামলাটি করেছে পুলিশ। যদিও নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, তপশিল ঘোষণার পর এজাতীয় মামলা দিয়ে কোনো দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করা যাবে না।
যশোরে আবারও গায়েবী মামলা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/