বাংলাদেশ শান্তি প্রিয় দেশ। বহু ত্যাগ তীতিক্ষা ও অনেক রক্ত সাঁতরে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমি। এ মাতৃভূমির মানুষ ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকলে মিলে শান্তি ও সম্প্রীতির মাঝে বসবাস করে আসছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় স্বাধীনতার পর যে কোন দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক মুক্তি আসে। অথচ বিজয়ের দীর্ঘবছর পরও আমরা মুক্তির জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে চলেছি। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্য দিয়ে আমরা বিজয়ের ৪৮তম বছরে পা দিয়েছি। নতুন সকাল নতুন স্বপ্ন নিয়ে হয়তো আমাদের সংগ্রাম চলতে থাকবে। সকল শ্রেণির পেশার মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। নারী পুরুষ কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করে অর্থনীতির চাকাকে সচল রেখে দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধিতে কাজ করছে। সকল দ্বিধা ভুলে সবাই যখন বহু প্রতীক্ষার পদ্মা সেতু নিয়ে স্বপ্ন দেখছে, ঠিক তখনই এ দেশে আইএস এর আদলে গড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে একশ্রেণির বিপদগামী তরুণরা। বিভিন্ন সময় তাদের নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রম আমাদের স্বপ্নের গায়ে চির ধরাতে চেষ্টা করেছে। সন্ত্রাসীদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও মানবতা বিপন্ন হচ্ছে। সমাজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ তাদের দৌরাত্ম্য দেখা যায়। তারা শিক্ষাঙ্গন এর মত পবিত্র জায়গাতেও থাবা বসিয়েছে। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এ দেশের তরুণদের জঙ্গিবাদের পথে প্রবেশ করাচ্ছে।
জঙ্গিবাদের ধৃষ্টতা আমরা দেখেছি ঢাকার হলি-আর্টিজন, শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ছোট বড় ঘটনায়। জঙ্গিবাদ নির্মূলে বর্তমান সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহসী অভিযানের কারণে জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা ‘নিজে বাঁচলে বাপের নাম’। আপাতত খবরের শিরোনামে আর জঙ্গিদের খবর আসে না। এটা আমার মত তরুণের কাছে ইতিবাচক। এ জন্য সরকারকে ধন্যবাদ। তবে আমরা কি এতোটাই নিশ্চিন্ত যে দেশে কোন জঙ্গি তৎপরতা নেই। দেশের তরুণদের জঙ্গিরা নীরবে ব্রেন ওয়াশ করে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তরুণদের এ বিপদের হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে আমাদের পরিবার। আমাদের অভিভাবকদের বসে থাকলে চলবে না। খোঁজ নিতে হবে আপনার সন্তানের বন্ধু কারা, কোথায় যাচ্ছে? কি করছে? কি কাজে সময় নষ্ট করছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিচরণ নজরদারি করতে হবে। পাশাপাশি সন্তানদের সাথে অভিভাবকদের সময় দিতে হবে। বন্ধুর মত সম্পর্ক সন্তানকে সঠিক পথে নিতে পারে।
আমরা স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। অন্যায়কে আমরা কখনো প্রশ্রয় দিতে শিখিনি। তাইতো স্বপ্ন দেখি দিন শেষ সকল বাধা পেরিয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে হাতে হাত রেখে দেশকে সন্ত্রাস মুক্ত করে একদিন উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। যেখানে থাকবে না সন্ত্রাস, থাকবে না জঙ্গিবাদ। মন খুলে উচ্চস্বরে গাইবো আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। লেখক: শিক্ষার্থী, দশম শ্রেণি, সাতক্ষীরা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়
মুক্তমত: আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/