Site icon suprovatsatkhira.com

বোরো বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কলারোয়ার কৃষক

কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আগাম ইরি-বোরো ধান চাষে নেমে পড়েছেন তারা। এদিকে কলারোয়ার হাট-বাজারে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। এই বীজ নিয়ে চলছে রমরমা বাণিজ্য। বীজ ডিলারসহ সার ও কীটনাশক ডিলারের দোকানে বিভিন্ন কোম্পানির হাইব্রিড ধানের বীজ বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলিতে বেড়েছে কৃষকদের উন্নত ফলনশীল জাতের বোরো ধানের বীজ কেনার হিড়িক। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত বোরো ধানের ২৭ টি জাতের মধ্যে কৃষকরা যে ধানবীজ থেকে ভাল ফলন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সেগুলি গ্রহণ করছেন বলে সূত্র জানায়।
উপজেলার দেয়াড়া, কামারালী, ধানদিয়া, চন্দনপুরসহ অধিকাংশ বিলে মাছ চাষ হওয়ায় আমন ধানের পরিবর্তে বোরো ধানই কৃষকদের একমাত্র ভরসা। বোরো ধান চাষ করে একদিকে নিজেদের চালের চাহিদা মেটানো, অপরদিকে মাছ চাষে লোকসান থাকলে বোরো ধান চাষ করে তা পুষিয়ে নেয়া।
চাষীরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলা তৈরিতে তেমন কোন সমস্যা হচ্ছে না। জানুয়ারিতে জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শেষ হবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। ফসল পাওয়া যাবে এপ্রিলে। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম আসার আগেই যেন বোরো ধান কেটে বাড়িতে তোলা যায় এজন্য কৃষকরা আগাম বীজতলা তৈরি করছেন।
খোরদো পাকুড়িয়া গ্রামের কৃষক তবিবুর রহমান বলেন, তিন বিঘা জমিতে ধান চাষ করার জন্য বীজতলা তৈরি করছেন। ভাল ফসল পাবার আশায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কৃষক আ: রাজ্জাক ও আলমগীর হোসেন বলেন, তারা পৃথকভাবে প্রায় ১০ বিঘা জমিতে মাছ চাষের পাশাপাশি বোরো মৌসুমে বোরো ধান চাষ করেন। এবারো তারা বোরো ধানের জন্য বীজতলায় বীজ বপণ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং রোগ বালাই কম হলে ভাল ফসল পাবেন বলে আশা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসিন আলী বলেন, গত বছর ৭৫ হাজার ৪ শ ২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। এ বছর ৮৪ হাজার ৩ শ ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর ৩ হাজার ৪শ ৫০ জনকে বিনামূল্যে বীজ ও ২৭০ জনকে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। আমারা আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া যাবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version