Site icon suprovatsatkhira.com

বিজয় ৭১: মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা মুক্তিযুদ্ধের এই প্রস্তুতিলগ্নে সাতক্ষীরাতে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য দুটো ঘটনা নিম্নে বর্ণনা করা হলো

সাতক্ষীরা ট্রেজারী থেকে অস্ত্র সংগ্রহ :
খুলনা ও যশোর শহর পাকবাহিনী কর্তৃক দখলের পর সাতক্ষীরা গমনের প্রস্তুতি নেয় তারা। তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হলে অস্ত্রের প্রয়োজন। আর সে কারণেই এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে (১৪ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে) সাতক্ষীরা সংগ্রাম পরিষদ পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সহায়তায় ট্রেজারি থেকে সংগ্রহ করে অস্ত্র ও গোলাবারুদ। এ কাজে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। অস্ত্র ও গুলি পেয়ে সংগ্রাম পরিষদ নেতা-কর্মীদের মনোবল বেড়ে যায় ।
ন্যাশনাল ব্যাংক অপারেশন :
১৯ এপ্রিল গভীর রাতে তৎকালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য (এম.এন.এ) আবদুল গফুর (পাইকগাছা) ও ইপিআর সুবেদার আইয়ুব আলির নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র ইপিআর জোয়ান ও কতিপয় সংগ্রামী যুবনেতা ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের সাতক্ষীরা শাখা (বর্তমান সোনালী ব্যাংক) অপারেশন করে সংগ্রহ করে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। মুক্তিযুদ্ধের খরচ মেটানোর জন্য সাতক্ষীরায় ব্যাংক অপারেশন ছিল মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক স্মরণীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। ওই টাকা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের বসিরহাট শাখায় জমা করা হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধকে ব্যাপক ও জোরদার করার উদ্দেশ্যে রণাঙ্গনকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেক্টরে একজন করে অধিনায়ক নিযুক্ত করে যুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

সাতক্ষীরা অঞ্চল ছিল অষ্টম ও নবম সেক্টরের অধীন। এছাড়া নবম সেক্টরের আওতায় ছিল ‘সাতক্ষীরা-দৌলতপুর সড়কসহ খুলনার দক্ষিণাঞ্চল এবং বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা।’
বিভিন্ন সময়েদায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্টর কমান্ডারগণ:
১. মেজর এম.এ জলিল
২. মেজর জয়নুল আবেদিন
৩. আবু ওসমান চৌধুরী
৪. মেজর এম.এ মনজুর
সুষ্ঠুভাবে যুদ্ধ পরিচালনার স্বার্থে মুক্তযুদ্ধ চলাকালীন নবম সেক্টরে বেশ কয়েকজন সাব সেক্টর কমান্ডার নিয়োগ করা হয়, তাঁরা হলেন :
১. ক্যাপ্টেন শফিকুল্লা
২. ক্যাপ্টেন মাহবুব আহমেদ
৩. মোহাম্মদ শাহজাহান (ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাস্টার নামে খ্যাত)
৪. ক্যাপ্টেন এম.এন হুদা
৫. ক্যাপ্টেন জিয়াউদ্দিন
৬. লে. মাহফুজ আলম বেগ
৭. লে. সামসুল আরেফিন (সূত্র: জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়ন)

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version