(গতকালের পর) যুদ্ধের বর্ণনা: মংলা এবং চালনার নদীবন্দরে বার বার জাহাজ ডুবির ফলে পাকিস্তানী বাহিনী যেমন সন্ত্রস্ত হয়ে ওঠে, সাথে নিরাপত্তার জন্য তারা নদীতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। শত্রু বাহিনী স্থানীয়ভাবে অনেকগুলো ব্যক্তিমালিকানাধীণ বৃহৎ লঞ্চ রিকুইজিশন করে সেগুলোকে খুলনা শিপইয়ার্ড থেকে কিছু রুপান্তর করে ৫ কিলোমিটার কামান ও হেভী মেশিনগান বসিয়ে গানবোটে রুপান্তর করে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে লাগায়। স্থলভাগেও হানাদার বাহিনী কম্বিং অপারেশন শুরু করে। ফলে নৌকমান্ডোদের কৈলাশগঞ্জ থেকে তাদের আশ্রয়স্থল বদল করে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে সরে যেতে বাধ্য হয়।
অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে এ এলাকায় সেনাশক্তি বৃদ্ধির জন্য সাবমেরিনার ও নৌপ্রশিক্ষণ ঘাটির অন্যতম সংগঠক লে. গাজী রহমতউল্লাহর নেতৃত্বে আরো ৩০ জন নৌকমান্ডোসহ একটি মুক্তিযোদ্ধা দল মংলা এলাকায় পাঠানো হয়। (সূত্র: জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়ন)
বিজয় ৭১: মুক্তিযুদ্ধে সাতক্ষীরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/