পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় একটি পরিবারকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করতে একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’পক্ষের জমির বিরোধ নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয়রা মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও এ পর্যন্ত কোন সমাধান মেলেনি। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ঘোষাল গ্রামে।
দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থানা ও আদালতে দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘোষাল গ্রামের মৃত ডা. ভোলানাথ সরকার মঠবাটী মৌজাস্থ ১৮৭ নং সি এস খতিয়ানে স্থানীয় কৈলাশের ওয়ারেশ হরিপদ মন্ডলের নিকট থেকে ১৯৫২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ২৩২৬ নং দলিলে ০.৪২ একর সম্পত্তি ক্রয় করে ভোগ দখলে ছিলেন এবং বর্তমান তার ওয়ারেশ সুশান্ত সরকার এ সম্পত্তি দখলে রয়েছেন। একপর্যায়ে ভোলানাথের দু’ভাই মনিন্দ্রনাথ ও খিরোদ সরকার ১৯৭২ সালে খুলনা সাব-জজ তৃতীয় আদালতে মামলা করে ডিক্রিপ্রাপ্ত হলে এর বিরুদ্ধে ভোলানাথের ছেলে সুশান্ত সরকার খুলনা জেলা যুগ্ম জজ আদালতে রদ-রহিতের জন্য দেঃ ১১২/১৭ মামলা করেন। যা আজও চলমান রয়েছে। সর্বশেষ জরিপে এ সম্পত্তি ভোলানাথের নামে রেকর্ড ও সর্বশেষ কর-খাজনা পরিশোধ রয়েছে বলে রাড়–লী ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তাহিদুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এম.আর ১০৮/১৭ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে সুশান্ত সরকারের ছেলে পার্থ প্রতীম সরকার অভিযোগ করেন মৃত মনিন্দ্র সরকারের ছেলে মৃত সুকুমারের ছেলে জয় সরকার গং ভিটে বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানের এ সম্পত্তি দখল চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর একের পর এক থানা ও আদালতে ঘর পোড়ানো, চাঁদাবাজি বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির পথ বেছে নিয়েছে। শুধু তাই নয় এ সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল নিতে না পেরে তারা সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকায় অসত্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
এদিকে এ সম্পত্তি বিরোধে আদালত পর্যন্ত গড়ালে থানা পুলিশসহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে। খুলনা পিবিআই এসআই নয়ন চট্টোপধ্যায় ও থানার এসআই লিটন বিশ্বাসসহ একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, চাঁদাবাজি, অগ্নিসংযোগের বিষয়টি সাক্ষ্যপ্রমাণে প্রমাণিত হয়নি।
পাইকগাছায় জমি দখলে নিতে না পেরে হয়রানির অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/