খুলনা অফিস: নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের এক-অষ্টমাংশের কম ভোট পাওয়ায় খুলনায় ২৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে ৩৫ প্রার্থী নির্বাচন করেছিলেন। এর মধ্যে ছয়জন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
১০টি রাজনৈতিক দলের ৩৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনটি আসনে ধানের শীষের প্রার্থীসহ বিরোধীদলীয় সব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। বাকি তিনটিতে ধানের শীষ প্রার্থীদের জামানত অল্পের জন্যে বেঁচে গেছে।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- খুলনা-১ আসনে জাতীয় পার্টির সুনীল শুভ রায় (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা আবু সাইদ (হাতপাখা) ও কমিউনিস্ট পার্টির অশোক কুমার সরকার (কাস্তে)।
খুলনা-২ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), গণফ্রন্টের মনিরা বেগম (মাছ), জাকের পার্টির কে এম ইদ্রিস আলী বিল্টু (গোলাপ ফুল), কমিউনিস্ট পার্টির এইচ এম শাহাদত (কাস্তে) ও বিএনএফের এস এম সোহাগ (টেলিভিশন)।
খুলনা-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মোজাম্মিল হক (হাতপাখা), জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের জনাদন দত্ত (মই)।
খুলনা-৪ আসনে বিএনপির আজিজুল বারী হেলাল (ধানের শীষ), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কে এম আলী দাদ (কোদাল), বিএনএফের মেজর (অব.) শেখ হাবিবুর রহমান (টেলিভিশন), ইসলামী আন্দোলনের ইউনুস আহমেদ শেখ (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির আনসার আলী (গোলাপ ফুল)।
খুলনা-৫ আসনে জামায়াতের অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার (ধানের শীষ), সিপিবির চিত্তরঞ্জন গোলদার (কাস্তে), ইসলামী আন্দোলনের শেখ মুজিবুর রহমান (হাতপাখা) ও জাতীয় পার্টির শহীদ আলম (লাঙল)।
খুলনা-৬ আসনে জামায়াতের মাওলানা আবুল কালাম আজাদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলনের গাজী নূর আহমেদ (হাতপাখা), জাকের পার্টির শেখ মর্তুজা আল মামুন (গোলাপ ফুল), কমিউনিস্ট পার্টির সুবাস চন্দ্র সাহা (কাস্তে) ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির মির্জা গোলাম আজম (টেলিভিশন)।
খুলনায় ২৬ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/