Site icon suprovatsatkhira.com

কেশবপুরের ৮ শিক্ষক পেলেন পিআরএল পেনশন

শেখ শাহীন, কেশবপুর (যশোর): যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলমের প্রশংসনীয় উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিআরএল ও পেনশন সেবা দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়া কেশবপুরের অবসরপ্রাপ্ত ৮ শিক্ষক পেলেন তাদের পিআরএল ও পেনশন সেবা।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা চাকরির বয়স শেষের এক বছর অবসর প্রস্তুতি ছুটির (পিআরএল) পর পেনশন পেয়ে থাকেন। এজন্য তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড় করাতে কয়েক দফায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে হয়রানী হতে হয়। চাকরির শেষ বয়সে এ দুর্ভোগে পড়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কথা চিন্তা করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম যশোরে যোগদানের পর ‘শিকক্ষকদের দোরগোড়ায় পিআরএল-পেনশন সেবা’ উদ্ভাবন করেন। তিনি শিক্ষকদের অবসর গ্রহনের জন্য তৈরী বাৎসরিক তালিকা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে নির্ধারিত দিনে তার অফিসের পেনশন শাখা সাথে নিয়ে প্রত্যেক উপজেলায় ক্যাম্প করে শিক্ষকদের হাতে তা তুলে দিচ্ছেন। চলতি এক বছর ওই ক্যাম্পের মাধ্যমে যশোর জেলার ৮টি উপজেলার ২৬ জন শিক্ষক পিআরএল সেবা এবং ৭১ জন শিক্ষক পেনশন সেবা পেয়েছেন। সম্প্রতি কেশবপুরে চার জন শিক্ষককে সোমবার বাড়ি থেকে ডেকে এনে পিআরএল ও পেনশনের কাগজপত্র তাদের হাতে তুলে দিলে তারা আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।
বেতীখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মুনছুর আলী জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে আমার পেনশন শুরু হবে। তার আগে বিনা খরচে উপজেলায় বসেই আমার সমুদয় কাগজপত্র হাতে পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। এর আগে ৩৫ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে একাধিকবার যশোর যাওয়ার পর ওই কাগজপত্র পাওয়া যেত।
কেশবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন জানান, এ উপজেলার ১৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক হাজার ৮৬ জন শিক্ষক কাজ করেন। এর মধ্যে আগামী তিন মাসে অন্তত ২০ জন শিক্ষক এলপিআর-এ যাবেন। যারা উপজেলা অফিসে বসেই কাগজপত্র হাতে পাবেন। চলতি বছর এ উপজেলার আট জন শিক্ষক ওই সেবা পেয়েছেন, যা ভাবতেই অবাক হতে হয়।
যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম জানান, অবসর গ্রহণকালে পিআরএল-পেনশন ভাতা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে একটা ভীতি কাজ করে। তাদের সময় ও পথ খরচ বাচিয়ে পেনশন নিয়ে টেনশন মুক্ত করার উদ্দেশ্যে স্কুল ভিজিটের পাশাপাশি তাদের কাছে জিও পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version