Site icon suprovatsatkhira.com

কবিতা: সন্তান

এসেই তুমি কেঁদেছিলে
জাগিয়ে শত আশা,
পিতাও সুখে কেঁদেছিল
হারিয়ে সকল ভাষা।
মা’ একটু ঘোমটা টেনে
আঁচল খানি দিয়ে,
থামিয়ে দিলো অশ্রুধারা
অন্তরালে গিয়ে।
দিন নেই, রাত নেই,
চোখে নেই ঘুম,
ছেলের সুখের লাগি
পড়ে গেছে ধুম।
দিন আসে, দিন যায়
থামে নাতো কখনো,
নতুন অতিথির সুখে;
আয়োজন যে’কোন।
এক পা, দু’পা করে
হাঁটছে সে মাত্র,
দামি-দামি পোশাকে তার
ভরে গেছে গাত্র।
হরেক খাবার আর-
দামি কত খেলনা!
সে আমার (পিতার) হৃদয়ের ধন
এতো নয় ফ্যালনা!
বড় হয়ে, হবে সে;
ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়র,
অভুক্ত পিতা-মাতা
করছে যোগাড় টাকা,
লেখা-পড়ায় কত খরচ!
বোঝেনি তা খোকা।
বড় হয়ে আজ সে
মস্ত বড় ডাক্তার,
যাকে তাকে দেখে বলে

Don’t come near.

আপন সুখের লাগি-
সময় তার কেটে যায়,
মুমূর্ষু পিতার খোঁজ,
কে নেবে হায়!
দীর্ঘদিনের অভুক্তি
ওষুধ ছাড়া চলা,
অসময়ে হেলে গেল
প্রাণ-গগণের বেলা।
কেঁদে কেঁদে পিতা তাই
ভাবে শত আজ,
কী করলাম, কী হলো?
মিছে সবই লাজ!!
আল্লাহকে ডেকে তাই (পিতা)
তুলে নাও আজই,
আমি তোমার, তুমি আমার,
বিচার দিনের কাজি।
শেষ সংবাদ শুনে খোকা
ছুটছে দামি গাড়িতে,
আলোকিত সমাজ গড়বে
এটাই হোক (তার) অঙ্গীকার।
নিথর বাবার মুখে হাসি,
শত রোল বাড়িতে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version