Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা: মুক্তিযোদ্ধা ও তার পরিবার হয়রানি হলে কঠোর ব্যবস্থা- এসএম মোস্তফা কামাল

আরিফুল ইসলাম রোহিত: র‌্যালি, আলোচনা সভা ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হলো সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।
পরে একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার এসএম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, জেলা স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক শাহ আব্দুল সাদী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোশারফ হোসেন মশু প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। আমি গর্বিত যে, আমি নিজেও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। জেলা প্রশাসক হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া কোন মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের কেউ প্রশাসনের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মাধ্যমে হয়রানি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাজি রাখার ত্যাগ কখনও ভোলার নয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা আজ স্বাধীন বাংলাদেশের সবেচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি। তারা তাদের জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতার জন্যে যুদ্ধে গিয়েছেন। স্বাধীনতার দীর্ঘদিন পরে শেখ হাসিনার সরকার এই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান আর মর্যাদা বাড়াতে ভাতা বৃদ্ধি, অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানোসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করেছেন।
সভায় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার সরকারকে আবার বিজয়ী করতে হবে। তবেই মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মান আর মর্যাদা তিনি দিয়েছেন তার কৃতজ্ঞতা জানানো হবে।
এর আগে সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় সঙ্গীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকা উত্তোলন করে দিবসটির সূচনা করা হয়। পরে শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলার আয়োজন করা হয়। খেলায় আশাশুনি ও শ্যামনগরের দুটি দল অংশগ্রহণ করে।
এদিকে শহীদ আব্দুর রাজ্জাকের কবর জিয়ারত ও পুস্পমাল্য অর্পণ এবং জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাসানুল ইসলাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আবু বক্কর সিদ্দিক, কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম মোস্তফা, দেবহাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি, তালা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মফিজুর রহমান, আশাশুনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আব্দুল হান্নান, শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার দেবীরঞ্জন মন্ডল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক আবু রায়হান তিতু, সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু সায়ীদ, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, হাসনে জাহিদ জজ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যুগ্ম আহবায়ক এসএম গোলাম ফারুক, রেজাউল ইসলাম রিয়াজ, সদস্য আব্দুর রহিম, বাবলুর রহমান বাবু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মেহেদী আলী সুজয়, সদস্য কাজী ফখরুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঞ্চস্থ হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান ও নৃত্য পরিবেশন করে জো¯œা আরা, নুশরিকা ও দিদার। সন্ধ্যায় শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে আতশবাজি প্রদর্শনী করা হয়।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version