Site icon suprovatsatkhira.com

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষকের অভিযোগ: আদালতের আদেশ অমান্য করে ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বশির

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখলের পায়তারা চালানোর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দিবা নৈশ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক মো. নওশের আলী।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে তিনি এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমি সাতক্ষীরা দিরা নৈশ কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক ও সেন্টার ফর হিউম্যান রাইটস্ মুভমেন্টের খুলনা বিভাগীয় সদস্য। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার লাবসা গ্রামের মৃত শেখ রাজাউল্যার স্ত্রী সাজেদা খাতুন তার ছেলে আব্দুর রহমানের নামে কাশিমপুর মৌজায় ২০৭৪ নং খতিয়ানের ৬১১৮ ও ৬১১৯ দাগের ৭২.৮৫ শতক জমি দানপত্র করে দেন। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান উক্ত সম্পত্তি সাতক্ষীরা পৌরসভার রসুলপুর গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে মো. খলিলার রহমানের কাছে রেজিস্ট্রি কোবলা মূলে বিক্রি করে দেন। আমি খলিলার রহমানের কাছ থেকে ২০০০ সালের ১৩ নভেম্বর ওই সম্পত্তি ক্রয় করে নেই। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তি আমার দখলে রয়েছে এবং আমার নামে মাঠ জরিপসহ হাল রেকর্ডও হয়েছে।
নওশের আলী আরো বলেন, সাজেদা খাতুনের ছেলে আব্দুর রহমান ওই জমি বিক্রির ঘটনা চেপে রেখে তার জামাতা লাবসা গ্রামের মৃতু আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ইয়াছিন আলীর নামে আম-মোক্তার নামা করে দেন। পরবর্তীতে ইয়াছিন আলী ওই আম-মোক্তার নামার বলে শহরের সাইফুল করিম সাবুর স্ত্রী জান্নাতুল করিমের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন। জান্নাতুল করিম ওই জমি দখলের চেষ্টা করলে আমি সাতক্ষীরা জজকোর্টে মামলা করি। মামলার প্রেক্ষিতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মামলা চলমান অবস্থায় জান্নাতুল করিম ওই সম্পত্তি ভূমিদস্যু বশিরের কাছে বিক্রি তরে দেন। যা সম্পূূর্ন বে-আইনি। পরবর্তীতে মামলার রায়ে আদালত আমার অনুকূলে ডিক্রি প্রদান করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর আদালতের আদেশ অমান্য করে গোপনে গভীর রাতে বশির আমার সম্পত্তিতে মাটি ফেলে দখলের চেষ্টা করে। জানতে পেরে আমি জমিতে মাটি ফেলা বন্ধ করে দেই এবং চলতি ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারার একটি মামলা দায়ের করি। কিন্তু এরপরও উক্ত বশির জোরপূর্বক আমার জমি দখলের পায়তারা চালাাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেরনে তিনি বহুল আলোচিত ভূমিদস্যু বশিরের অত্যাচার ও জমি দখলের পায়তারার হাত থেকে রেহাই পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version