ডেস্ক রিপোর্ট: যশোর শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়া থেকে বিএনপির মামলায় পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিলসহ ২২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে বোমা হামলা ও প্রাইভেটকার ভাঙচুরের অভিযোগে রোববার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার সকালে কিসমত নওয়াপাড়া এলাকায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ে বোমা হামলা ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুরের অভিযোগে যুবলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম থানায় মামলা করেন। মামলায় পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আহমেদ শাকিলসহ ৬০ জনকে আসামি করা হয়। পরদিন রাতেই পুলিশ শহরময় অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার একটি মুরগির দোকানের সামনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয় ছিল। শনিবার সকালে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। এসময় আসামিরা সেখানে গিয়ে তাদের লক্ষ্য করে তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর আসামিরা নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। সেখানে থাকা একটি প্রাইভেটকারে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছালে আসামিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সেখান থেকে অবিস্ফোরিত তিনটি বোমা, বিস্ফোরিত বোমার জর্দার কৌটার ৫টি টুকরো, ১১টি কাচের মারবেল, জালের কাঠি (লোহার ছোট টুকরো) ১৩টি, লাল স্কচটেপ ৪ টুকরো, কালো রঙের স্কসটেপ ৩ টুকরো, প্লাস্টিকের চেয়ার ও পোড়া বাঁশসহ বিভিন্ন দ্রব্য উদ্ধার করে।
মামলার বাদী শহিদুল ইসলাম সদর উপজেলার তালবাড়িয়া সরদারপাড়ার নওশের আলীর সরদারের ছেলে ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
তালবাড়িয়া ক্যাম্প পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
যশোরে বিএনপির ২১ নেতাকর্মী গ্রেফতার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/