Site icon suprovatsatkhira.com

মুক্তমত: সমাধান কোথায়!

এখন চলছে ফলাফল প্রকাশের মৌসুম। কার কত রোল হল এই নিয়ে সবাই আলোচনাতে ব্যস্ত। রিডিং, রাইটিং ও স্পিকিং স্কিল সম্পর্কে কেউ কিছু দেখছে না। এটা চরম অবক্ষয়। ব্যাসিকহীন মুখসর্বস্ব মেধাবীরা প্রতিযোগিতা বা উপযুক্ত ক্ষেত্রে ইজিলি কুপোকাত হচ্ছে অহরহ।
অভিভাবকদের কারোর চোখে বা বিবেকে কিছুই ধর্তব্য মনে হচ্ছে না। প্রাথমিক উত্তীর্ণদের সিংহভাগই ভুলে ভরা বানানে অভ্যস্ত। শুদ্ধ উচ্চারণ শিশুর যে প্রথম শিক্ষা এটা আজ আমরা প্রায় ভুলেই গেছি। উচ্চারণের প্রশ্নে স্বয়ং অনেক শিক্ষকই প্রশ্নবিদ্ধ। এক্ষেত্রে কেঁচো খুঁড়তেই সাপ বেরিয়ে আসবে। নিয়োগের নানা অপকৌশল এই ক্ষেত্রে নাই বা তুলে ধরলাম। তবে এটুকু বলা আবশ্যক যে, যে জ্ঞান বা দক্ষতা শিক্ষক বা অভিভাবকদের মধ্যেই নেই তা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসবে কোথা থেকে?
প্রাথমিক স্তরে ভুল বানান উচ্চারণে অভ্যস্ত শিক্ষার্থীরা ৬টা পাঠ্যপুস্তকের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যখন মাধ্যমিকে হঠাৎ দ্বিগুণ সংখ্যক পাঠ্যপুস্তকের সামনে নিজেকে নিয়োজিত করছে- তখন স্বাভাবিকভাবে অলসতা বা ছাড় নিয়ে চলার প্রবণতাটাই তৈরি হচ্ছে তাদের মনে ও মননে। আর সৃজনশীল? হাস্যকর হয়ে গেল না একটু। কারণ যারা সঠিকভাবে পড়তে পারছে না, উচ্চারণই ঠিক নেই এবং বাক্য তৈরি করতে পারছে না তারা কি করে নতুনভাবে বাক্য সৃজন করবে? এটা আমাদের বর্তমান শিক্ষাবিদ বা হর্তা কর্তাদের প্রশ্ন করাই যায় । অথচ সমাধানের তো কোন উপায়ই হচ্ছে না!
লেখক: প্রধান শিক্ষক, গওহর আলম নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রমজাননগর, শ্যামনগর

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version