Site icon suprovatsatkhira.com

ভোমরা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক যেন মরণ ফাঁদ

আবিদ হোসেন, ভোমরা: ভোমরা স্থলবন্দর জিরো পয়েন্ট থেকে বিজিবি বাঁশকল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের বাহন দুর্ঘটনায় পতিত হচ্ছে।
জিরো পয়েন্ট থেকে বিজিবি বাঁশকল পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার ভোমরা স্থলবন্দরের প্রধান সড়ক। এই সড়কের সর্বত্র ছোট-বড় গর্তে ভরা। ব্যস্ততম এই সড়কে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকসহ জনপরিবহন দুর্ঘটনার আশংকা নিয়েই চলাচল করছে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে যে কোন সময়েই প্রাণহানি ঘটে যেতে পারে বলে আশংকা ভুক্তভোগীদের।
মেসার্স বিএস ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশিষ্ট আমদানিকারক আবুল হোসেন জানান, জিরো পয়েন্ট থেকে আমাদের ব্যক্তিগত ইয়ার্ড পর্যন্ত পৌঁছাতে উচু-নিচু রাস্তায় আমদানিকৃত পাথরবাহি প্রতিটি ট্রাক কাত হয়ে কয়েকটন করে পাথর রাস্তায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় আমদানিকারকসহ পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছে এই রাস্তার কারণেই দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
ভোমরা বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম বাবলু বলেন, এই দুই কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে ব্যক্তিগত ইয়ার্ডগুলোতে কাজে শ্রমিক পাঠিয়ে তারা ফিরে না আসা পর্যন্ত কখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় সেই আশঙ্কায় থাকি।
ভোমরা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, ভোমরা বন্দরের এই দুই কিলোমিটার রাস্তা বর্তমানে ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ীদের রুটি-রুজির উপর বড় ধরনের হুমকি। কারণ দুর্ঘটনায় পণ্যের ক্ষতি হলে তারা আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। দ্রুত রাস্তার সংস্কার না হলে আগামীতে আমদানি -রপ্তানিকৃত পণ্য পরিবহনে পর্যাপ্ত ট্রাক পাওয়া কষ্টসাধ্য ও ব্যয়বহুল হবে।
ভোমরা কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম আক্ষেপ করে জানান, সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগে বার বার আবেদন করেও দুঃখজনকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে মাঝে মাঝে ইট দিয়ে অস্থায়ীভাবে সংস্কার করে যায়। ইতোমধ্যে এই দুই কিলোমিটার রাস্তা ছয় লেনে উন্নীত করার জন্যে আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে লিখিত আবেদন করেছি। একই সাথে রাস্তার দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্যে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি। পাথরের ট্রাক কাত হয়ে পড়ে যাওয়া পাথর কুড়াতে গিয়ে রাস্তার পাথরও তুলে ফেলছিল বলে রবিবার (২ ডিসেম্বর) মাইকিং করে রাস্তার পাথর কুড়ানো বন্ধ করা হয়েছে। প্রতিদিন আমদানি-রপ্তানিকৃত পণ্য পরিবহনসহ হাজার হাজার ব্যবসায়ী শ্রমিক পাসপোর্ট যাত্রী, ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি অবিলম্বে সংস্কার করা না হলে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধিসহ রাজস্ব আহরণে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
এ প্রসংগে আমদানিকৃত পাথরবাহি ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার যাদব সরকার বলেন, গর্তে ভরা রাস্তায় উল্টে যাওয়ার ভয়ে জীীবন হাতে নিয়ে চলতে হয়। প্রতিদিন বেশকিছু ট্রাকের চাকা ফেটে যাচ্ছে, এমনকি চাকা খুলেও যাচ্ছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version