(গতকালের পর) এই দৃশ্য দেখে শত্রু সৈন্য এবং রাজাকার অবস্থান ছেড়ে পালাতে থাকে। ১১ জন পাকসেনা এবং ৪০ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী ৪ দলে বিভক্ত হয়ে থানা আক্রমণ করে। ফলে দখলদার বাহিনী ও রাজাকার যারা থানা এবং বাঙ্কারে ছিল, ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে। কমান্ডো জিএমএ গফ্ফারের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল আশাশুনি-সাতক্ষীরা সড়কের মাঝে একটি ব্রিজ এক্সপ্রেসিভ দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে সেখানে কাট অফ পার্টির দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিবাহিনীর সদস্য খিজির আলী এই যুদ্ধে শত্রু বাহিনীর সামনেই দন্ডায়মান অবস্থায় দুটি এল.এল.জি বগলে চেপে গুলি ছুড়তে ছুড়তে থানায় গিয়ে ওঠেন। রাজাকার এবং পাকিস্তানি সৈন্যরা তার ভয়াল মূর্তি দেথে অস্ত্রশস্ত্র ফেলেই পালাতে শুরু করে। এদিন আশাশুনি থানার পতন ঘটে। পাকবাহিনী পালিয়ে সাতক্ষীরা সদরে আশ্রয় গ্রহণ করে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার সালিক এই সাফল্যের জন্য রহমতউল্লাহকে অভিনন্দিত করেন (চলবে)। (সূত্র: জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়ন)