Site icon suprovatsatkhira.com

পাইকগাছায় শিক্ষকের জমি থেকে ধান কেটে নিলো দুর্বৃত্তরা

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের ৫০ বিঘা জমির ধান জোর করে কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গড়ইখালী ইউপির কুমখালী গ্রামে। অভিযোগ পেয়ে বাইনবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
উপজেলার কুমখালী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দীলিপ সানা জানিয়েছেন, আমার ক্রয়কৃত কুমখালী মৌজার এসএ ১৯৫ খতিয়ানের মালিক ময়না সুন্দরীর নিকট থেকে ১৬.৩১ একর বা ৫০ বিঘা জমি ক্রয় করে দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি ভোগ দখল করে আসছি। বর্তমান সেটেল জরিপেও আমাদের নামে ৩৫৮, ৩৬৪, ৩৭৭ ডিপি খতিয়ান রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু একই গ্রামের মৃত প্রফুল্ল ঢালীর পুত্র গৌরাঙ্গ ঢালী, সঞ্জিব ঢালী তাদের বাড়ি সংলগ্ন সম্পত্তি হওয়ায় তারা ভুয়া কাগজ তৈরি করে ধান কাটার মৌসুম আসলেই জোরপূর্বক ধান কেটে নেয়। তারই জের ধরে গৌরাঙ্গ ঢালী ও সঞ্জিব গড়ইখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাসের সহযোগিতায় সৃজন কর্মসূচির লোকসহ লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে বুধবার ধান কেটে নিয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা।
দীলিপ সানা আরো জানান, ধান কাটার সময় পার্শ্ববর্তী বাইনবাড়িয়া পুলিশ ক্যাম্পে জানানো হলে ক্যাম্প ইনচার্জ আবু হানিফের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে তারা ধান কাটা বন্ধ করে দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর তারা আবারও ধান কেটে নেয়।
ক্যাম্প ইনচার্জ আবু হানিফ জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তর্কিত সম্পত্তি হওয়ায় পক্ষদ্বয়কে যে যতটুকু সম্পত্তিতে ধান রোপণ করেছে তাদেরকে কেটে নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
চেয়ারম্যান রুহুল আমিন বিশ্বাস জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কর্মসৃজন কর্মসূচির লোকদের ছুটি দিয়েছি। ধান কাটার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। গৌরাঙ্গ ঢালী জানান, ওয়ারেশ সূত্রে ওই সম্পত্তির মালিক আমি। সেই সুবাদে ধান রোপণ ও কর্তন করেছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version