যশোর অফিস: চুরি করা কাপড়ের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে হৃদয়ের সাথে রাকিব, শাকিল, সাজু ও মিলনের সাথে দ্বন্দ্ব বাধে। চুরিকরা কাপড় বিক্রির ১৬ হাজার টাকা ছিল হৃদয়ের কাছে। টাকার ভাগা বেশি চেয়েছিল হৃদয়। বিষয়টি মানতে পারেনি অন্যরা। একপর্যায় রাকিবের নিজের মাফলার দিয়ে হৃদয়ের গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তার পকেট থেকে ওই ১৬ হাজার টাকা নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে লাশ ভৈরবে ফেলে যে যার মত চলে যায়।
বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন নিম্মীর আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এমনটিই জানিয়েছে এ মামলায় আটক নওয়াপাড়া গুয়াখোলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাব্বি। এর আগে বুধবার বিকালে নওয়াপাড়া গুয়াখোলা এলাকা থেকে তাকে আটক করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। এসময় রাকিবের কাছ থেকে হৃদয়কে হত্যার কাজে ব্যবহৃত মাফলার উদ্ধার করেন তারা।
গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে অভয়নগর দিয়াপাড় ঘাটের পাশ থেকে ভাসমান অবস্থায় আবিদ হাসান হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হৃদয় অভয়নগর হাসপাতাল এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ খোকনের ছেলে। এসময় নিহতের গলায় ফাঁসের চিহ্ন পাওয়া যায়। পরে নিহতের মামাতো বোন আবনুর সুলতানা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে অভয়নগর থানায় মামলা করেন।
চুরির টাকা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বে খুন হয় যশোরের হৃদয়
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/