মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরের আব্দুল লতিফ (৪৫) হত্যাকান্ডের প্রায় ৪ মাস পর পুলিশের তদন্তে হত্যার মোটিভ উদঘাটন হয়েছে। পুলিশ এ হত্যাকান্ডে জড়িত ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে বাচ্চু নামে এক যুবক ওই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। চার জন আটক ও আদালতে জবানবন্দির বিষয়টি নিশ্চিত করেন মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম এনামুল হক।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ জুলাই সকালে উপজেলার ঘুঘুরাইল গ্রামের মৃত আতিয়ার দফাদারের পুত্র আব্দুল লতিফের লাশ একই উপজেলার ব্রাক্ষ্মণডাঙ্গার মাঠের একটি ডোবা থেকে কাদামাটি মাখানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা ছিল হত্যাকারীরা তাকে গলায় গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। কিন্তু কি কারণে ও কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তার কোন ক্লু পুলিশের কাছে ছিল না। সম্প্রতি পুলিশের তৎপরতায় বেরিয়ে আসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে গাঁজা বিক্রির চেষ্টা করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
২১ নভেম্বর সতীঘাটার কামালপুর গ্রামের রবিউল গাজির পুত্র বাচ্চুকে আটক করে থানায় এনে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের বিবরণ দেয়। পরের দিন ২২ নভেম্বর তাকে আদালতে পাঠানো হয়। সে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন নিম্মীর আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ওই হত্যার ঘটনায় নিজেকে জড়িত থাকার কথা স্বীকার ও অপর ৩ জনের নাম প্রকাশ করে। এরপর আটক করা হয় উপজেলার জমজামিয়া গ্রামের আকতারুজ্জামান মুকুলের পুত্র হাফিজুর, একই গ্রামের আসলাম হোসেনের পুত্র আশিক ও সতীঘাটা-কামালপুর গ্রামের মুনছুর আলীর পুত্র মোশাররফ হোসেন মুসাকে।
পুলিশের দাবি আটককৃতরা স্বীকার করেছে ঘটনার রাতে লতিফ গোবরের শুকনা বড়ে ও বিচালী পোড়ানো ছাই দিয়ে গাঁজার মোড়া বানিয়ে তাদের কাছে প্রতারণা করে বিক্রির চেষ্টা করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা ৪ জন মিলে লতিফের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গামছা পেচিয়ে তাকে হত্যা করে লাশ বিলে ফেলে রাখে।
৪ মাস পর মণিরামপুরের লতিফ হত্যাকান্ডের মোটিভ উদঘাটন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/