Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগরে ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, চলছে শিশু শ্রম

এস.এম. নাহিদ হাসান: শ্যামনগরে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। অন্যদিকে সেখানে চলছে শিশু শ্রম।
উপজেলা প্রশাসনের হিসাব অনুযায়ী শ্যামনগর উপজেলায় ইটভাটার সংখ্যা ১২টি। পরিবেশ অধিদপ্তরের অবস্থান ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই অধিকাংশ ভাটার। ২০১৩ সালের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ভাটার অনুমোদন প্রদান নিষিদ্ধ। অবস্থান ও পরিবেশগত ছাড়পত্র আছে দু-একটির। অধিকাংশ ভাটায় মৌসুমের শুরুতেই জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভ্যাটসহ ৫৭৫০০ টাকার ট্রেড লাইসেন্স নেওয়ার কথা থাকলেও বছরের মধ্যবর্তী সময়ে এসেও দেখা মেলেনি অধিকাংশ ভাটা মালিকের।
এবিষয়ে সদর ইউপি সচিব বলেন, সদরের সাকিব ব্রিকসের দুটি ভাটা থাকলেও এখনো তারা ট্রেড লাইসেন্স নেয়নি। স্থানীয় খানপুরের বাসিন্দা আতাউর রহমান খান বলেন, আবাসিক এলাকার মধ্যে স্থাপিত ইটভাটাকে অবস্থান ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ও অনুমোদন দেওয়া আইনের পরিপন্থী। কিন্তু কোন অদৃশ্য জোরে সদরের আবাসিক এলাকায় এতগুলো ইটভাটা স্থাপিত হলো কিভাবে। এতে পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে। ভাটার ধোয়ায় পরিবেশ পুড়ে ছাই হচ্ছে এমনটাই বলছে সাধারণ মানুষ।
জাতিসংঘ প্রণীত শিশু অধিকার সনদে ১৮ বছরের কমবয়সী প্রত্যেককে শিশু বলা হয়েছে। এতে বলা হযেছে, শিশুর বেঁচে থাকা তাদের জন্মগত অধিকার। এরই সাথে শিশুর জন্য অধিকারগুলির কথাও মনে রাখতে হবে সচেতন সমাজের। কিন্তু এতকথা ভাবার সময় নেই এখানকার ভাটামালিকদের। অল্প পারিশ্রমিকে শিশু শ্রমিক পাওয়া যায় বলে শিশুদের স্কুল, শৈশব পুড়ছে ইটের ভাটায়। ছুটির দিনেও বাড়তি টাকার জন্য এসব শিশু ভাটায় আসে ইট বহন, রোদে শুকানো, মাটি, বালি, রাবিস বহনসহ বিভিন্ন কাজ করতে। ভোর থেকে তাদের এ কর্মযজ্ঞ চলে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা।
এবিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান বলেন, অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শীঘ্রই শিশু শ্রমিক এবং অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version