Site icon suprovatsatkhira.com

মণিরামপুরের ৩ গণধর্ষণ: মূল আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরে ১৫ দিনের ব্যবধানে স্কুল ছাত্রী ও এক ভিক্ষুকের কন্যাসহ ৩ নারী গণধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা হলেও মূল আসামিরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অভিযোগ রয়েছে, মামলা করায় হুমকির মুখে দিনাতিপাত করছে পাশবিক নির্যাতনের শিকার ভিকটিম ও মামলার বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা। এই তিন গণধর্ষণ মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আসামিদের মধ্যে পুলিশ ও জনতার হাতে ৪ জন আটক হলেও অন্য আসামিরা রয়েছে বাইরে।
২১ অক্টোবর গভীর রাতে উপজেলা কুচলিয়া এলাকার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। ওই এলাকার একটি স্কুলে ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে আসে ওই ছাত্রী একই এলাকার কথিত প্রেমিক দেবুর সাথে। এদিন রাত ২ টার দিকে ৭/৮ জন যুবক অনুষ্ঠানের পাশে থাকা কথিত প্রেমিক দেবুর সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে পার্শবর্তী দিগঙ্গা-কুচলিয়া এলাকার তুষারের মৎস্য ঘেরের পাড়ে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালাতে থাকে। জনতা প্রশান্ত ও কমলেশ নামে দুই ধর্ষককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটানায় জড়িত ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়।
গত ২৪ অক্টোবর রাতে উপজেলার হোগলাডাঙ্গা ঋষি পল্লির এক গৃহবধূকে একই এলাকার তিন ব্যক্তি তাকে ধরে হাত ও মুখ বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ সময় তাকে হুমকি দেয়া হয় এ ঘটনা জানালে পুনরায় তাকে ধর্ষণসহ তার ভ্যান চালক স্বামীকে মেরে ফেলা হবে। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর তার ভ্যান চালক স্বামী বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় গণধর্ষণ মামলা করেন। গোলাম মোস্তফা নামে এক ধর্ষককে আটক করা হয়।
গত ৫ নভেম্বর রাতে উপজেলার পাড়ালা গ্রামের ঋষি পল্লীর এক গৃহবধূর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার এক সপ্তাহ পর গত ১২ নভেম্বর ওই গৃহবধূ থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা দেয়। এরপর তার ভিক্ষুক মা বাদী হয়ে ৫ জনের নামে থানায় গণধর্ষণ মামলা কারার পর জটু দাস নামে এক ধর্ষককে আটক করলেও বাকিরা গাঁ-ঢাকা দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, আসামি পক্ষের লোকজন নানা ধরনের হুমকির পাশাপাশি মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি করে চলেছে।
জানতে চাইলে তিন গণধর্ষণ মামলার একক তদন্তভারের বিষয়টি নিশ্চিত করে মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এসএম এনামুল হক জানান, পলাতক অন্য আসামিদের আটকের চেষ্টার পাশাপশি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version