ডেস্ক রিপোর্ট ॥ যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভালুকঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদলী ঠেকাতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগে উপজেলার ভালুকঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তহমিনা খাতুনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা ইউএনওর নিকট অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পর থেকে তহমিনা খাতুন নিয়মিত স্কুলে আসেন না। তিনি বিদ্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। যার ফলে অভিবাবকরা তাদের সন্তানদের অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে বাধ্য হচ্ছেন। যে কারণে শিক্ষার্থী কমে যাচ্ছে। এবিষয়ে গত ৬ মার্চ শিক্ষা অফিস তদন্ত করেন। তহমিনা খাতুন বিদ্যালয়ের তৃতীয় শেণীর ছাত্র সোহান, দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র আকাশ, আসিফ ও নয়নকে অকারণে মারপিট করে আহত করে। এঘটনায় অভিভাবকরা গত বছরের ১২ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন। এছাড়াও তার অনিয়মের কারণে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ১১ জন অভিভাবক সদস্যের মধ্যে ৬ সদস্য সম্প্রতি পদত্যাগ করেছেন।
একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মেহেরুননেসা কর্তৃক ( যার স্মারক নং-বিপ্রাশিকা/খুবিখু/হি-খ:/৭৭-৪/বদলি প্রশা:/১৩/৪৬২/০৫) গত ৩ অক্টোম্বর স্বাক্ষরিত চিঠিতে ভালুকঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাহমিনা খাতুন কে বদলী করা হয়। বদলীকৃত কর্মস্থল পল¬ীমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দান করতে নিদের্শ দেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক ১১ অক্টোবর ওই চিঠি গ্রহণ করেছেন। দীর্ঘ প্রায় এক মাস অন্যত্র বদলী হলেও নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করে তিনি বদলী ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে দেনদরবার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন জানান, অবিলম্বে বদলীর আদেশ কার্যকর করা হবে।
বদলী ঠেকাতে দেনদরবার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/