শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জের গোবিন্দপুরে মরা গরুর মাংস বিক্রির ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা স্যানেট্যারি ইন্সপেক্টরকে জানালেও তিনি উৎকোচ নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
গোবিন্দপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আহছান হাবিব, হায়দার আলী, আবু সালাত জানান, কুশুলিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত অমেদ আলী গাজীর ছেলে রফিকুল ইসলাম কিছুদিন পূর্বে বাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কেনেন। কিছুদিনের মধ্যে গরুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও গরুটি সুস্থ হয়নি। একপর্যায়ে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ভোর রাতে গরুটি মারা যায়। রফিকুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী শ্যামনগর উপজেলা এলাকার এক কসাইকে ডেকে রাতের আঁধারে গরুটি বিক্রি করে দেয়। কসাই ওই গরুর মাংস বিক্রি করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুস সোবহানকে খবর দেন। তিনি ঘটনাস্থলে গেলেও অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ।
তবে গরুর মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন পূর্বে তার গরুর একটি পা ভেঙে যায়। এরপর থেকে ওই গরুটি খাওয়া বন্ধ করে ক্রমান্বয়ে অসুস্থ হতে থাকে। এজন্য তিনি কসাইয়ের কাছে গরুটি বিক্রি করেন। মঙ্গলবার ভোরে কসাই গরুটি জবাই করে মাংস নিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর আব্দুস সোবহান বলেন, আমি এলাকাবাসীর মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই। গরু জবাই করা হয়েছে বলে জানতে পারলেও সেটি মরা গরু ছিল কী না তা নিশ্চিত হওয়ার মতো আলামত পাইনি।
কালিগঞ্জে মরা গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/