Site icon suprovatsatkhira.com

এমপি রবির প্রচেষ্টায় সবার আগে উদ্বোধন হলো সাতক্ষীরারটি: বাটকেখালিতে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওয়াটার প্লান্ট উদ্বোধন

ফাহাদ হোসেন: সাতক্ষীরা পৌরসভার বাটকেখালিতে প্রতি ঘণ্টায় ৩শ ৫০ ঘন মিটার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন গ্রাউন্ড ওয়াটার সিস্টেম প্লান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহম্মেদ রবি প্রধান অতিথি হিসেবে প্লান্টটি উদ্বোধন করেন। প্লান্টটি দৈনিক ১০ ঘণ্টা সক্রিয় রাখলে ৫০হাজার মানুষের সুপেয় পানির অভাব পূরণ হবে।
৩৭ জেলা শহরে পানি সরবারহ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এ প্লান্টির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর খুলনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক এসএম ওয়াহিদুল ইসলাম, ঢাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ৩৭ জেলা শহরে পানি সরবারহ প্রকল্পের পরিচালক নুর আলম, সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর ও জেলা মাহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোৎ¯œা আরা, প্যানেল মেয়র ফারহা দীবা খান সাথী, ঠিকাদার কাজী জিলান হায়দার, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী ফিরোজ হাসান।
অনুষ্ঠানে এমপি রবি বলেন, আগের তুলনায় সাতক্ষীরা শহর সম্প্রসারিত হয়েছে। যার কারণে শহরের সবকিছুর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সাথে সাথে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। তবে, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালেশিয়ার আদলে আমরা সাতক্ষীরা গড়ব। প্রাণ সায়ের খাল দৃষ্টিনন্দন করব। এছাড়া আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে শহরের মানুষের কোন প্রকার সমস্যা থাকবে না। শহরের ১৪টি ইউনিয়ন আমি পিতল দিয়ে মুড়ে দিতে চাই। আগের চেয়ে মানুষ অনেক সুখে-শান্তিতে আছে। যেটুকু বাকি আছে আপনারা না চাইতেই পাবেন। এই প্লান্টের মাধ্যমে সুপেয় পানির দুর্ভোগ কমবে মানুষের।
পৌর মেয়র তাজকিন আহম্মেদ চিশতি বলেন, এই প্লান্টটি দৈনিক ১০ ঘণ্টা করে চালালে ৫০ হাজার মানুষের সুপেয় পানির দুর্ভোগ থাকবে না। এই প্লান্টটিতে পাইপ লাইন আরো বেশী সম্প্রসারিত করতে হবে। রাজ্জাক পার্কস্থ একটি পানির প্লান্ট রয়েছে যেটির এক কিউবিক লিটার পানির জন্য খরচ হয় প্রায় ১৫ টাকা। কিন্তু জনগণের নিকট থেকে নেয়া হয় পাঁচ টাকা। প্রতি কিউবিক লিটারে ভর্তুকি দেয়া হয় দশ টাকা করে। ফলে বিদ্যুৎ খরচ প্রতি মাসে দুই তিন লাখ টাকা বাকি পড়ছে। এই প্লান্টেও বিদ্যুতের খরচ বাড়বে। তাই নিকটতম সময়ে পানির বিল বৃদ্ধির পরিকল্পানা আছে পৌরসভার।
এসময় সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে যে কয়টি ভূ-গর্ভস্থ ওয়াটার প্লান্ট তৈরী শুরু হয়েছে এর মধ্যে সাতক্ষীরারটি স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রচেষ্টায় প্রথম উদ্বোধন হলো। এটি তৈরী করা থেকে শুরু করে চালু করার পূর্ব পর্যন্ত অনেক বাধার সম্মুখিন হতে হয়েছে। যেগুলো সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে দ্রুত সমাধান হয়েছে। এজন্য সকল জেলার আগে সাতক্ষীরা জেলায় আগে উদ্বোধন করা সম্ভব হলো।
পরে এমপি রবি প্লান্টটি পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version