মোজাহিদুল ইসলাম, কলারোয়া: দুলি বিবির বয়স ৮২ বছর। স্বামী নেই, ছেলে সন্তান থেকে ও নেই, নেই ভালোমত থাকার কোনো জায়গা। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়েছেন। একা একা চলতে ফিরতে কষ্ট হয় খুব। বেঁচে থাকতে যে মৌল মানবিক চাহিদা তার ন্যূনতমও পূরণ করতে ব্যর্থ তিনি। পাচ্ছেন না কোনো সরকারি সাহায্য। গত শুক্রবার প্রতিবেদকের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি জানতে চান আর কত বয়স হলে বিধবা বা বয়স্ক ভাতা পাবেন তিনি? স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অনেকবার তিনি ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির নিকটে ধর্ণা দিয়েও কোনওভাবে একটা বিধবা বা বয়স্ক ভাতার কার্ডে নাম অর্ন্তভুক্ত করাতে পারেননি। তিনি বলেন ছেলে সন্তান থাকার পরেও তারা আমার ভরণপোষণ বা ঔষধ কেনার টাকা পর্যন্ত দেয় না। বাধ্য হয়ে মেয়ে আমাকে তার যথাসাধ্য সাহায্য সহযোগিতা করে। দুলি বিবির গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দামোদরকাটি গ্রামে। তিনি মৃত আক্কাজ আলী গাজীর স্ত্রী। হতদরিদ্র দুলু বিবি এখন জীবনের তাগিদে অন্যের বাড়িতে ফায়ফরমাশ খাটেন। কখনও কখনও ছোট মেয়ে ছফুরার বাড়িতে থেকে দিনাতিপাত করছেন।এ ব্যাপারে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ভাতার দাবিদারদের তুলনায় আমরা বরাদ্দ পাই অনেক কম। ভাতা পাবার যোগ্য অনেককে আমরা চাইলেই ভাতা দিতে পারি না। প্রতি ওয়ার্ডে ৪/৫টি কার্ড বরাদ্দ থাকে। আগামীতে বয়স্ক বা বিধবা ভাতাতে তার নাম তালিকাভুক্ত করতে ইউপি সদস্য আসলাম হোসেন দুলালকে পরামর্শ দিয়েছি।এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য আসলাম উদ্দীন দুলালের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সত্যিই মহিলাটি একেবারে অসহায়। তবে আগামীতে বয়স্ক বা বিধবা ভাতাতে তার নাম তালিকাভুক্ত করা হবে।
আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতা পাবেন দুলি বিবি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/