Site icon suprovatsatkhira.com

সাতক্ষীরার ক্রিকেটারদের লঙ্গার ভার্সন ম্যাচের পরামর্শ: কোচিংয়ে সাফল্যের সাথে এগিয়ে যাচ্ছেন সোহেল ইসলাম

আবু রাইয়ান: মো. সোহেল ইসলাম। ছোট বেলা থেকেই খেলাধূলার প্রতি অন্যরকম নেশা ছিল তার। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ও পল্লীমঙ্গল মাঠে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন তিনি। সদর উপজেলার পরানদাহর দত্তরডাঙা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলাম ও রিজিয়া খাতুনের আট ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সোহেল। ভাইদের থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে সাতক্ষীরার এরিয়ান্স কøাবে তার ক্রিকেটে হাতেখড়ি। তারপর বাংলাদেশ ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান-বিকেএসপিতে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন।
দীর্ঘদিন বিকেএসপি, ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও সূর্য তরুণসহ জাতীয় ক্রিকেট লীগে খেলা করেছেন সোহেল ইসলাম।
মূলত স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। ১৯৯৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হন। পড়াশুনার পাশাপাশি অনূর্ধ্ব-১৯ বাংলাদেশ-এ টিমে খেলেছেন তিনি।
২০০৬ সালে খেলা থেকে অবসর নিয়ে কোচের দায়িত্বে আসেন সোহেল। প্রথমে ঢাকার প্রথম ডিভিশন ক্রিকেটে গাজী ক্রিকেটার্সের হেড কোচ ছিলেন। এরপর ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যোগদান করেন সোহেল। বর্তমানে অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জাতীয় দলের ফিল্ডিং ও স্পিন বোলিং কোচের কাজ করেছেন। এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলসহ বিসিবির অধীনে বিভিন্ন একেডেমিক দলেও কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়া দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে জাতীয় ক্রিকেট লীগে মোহামেডানের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাতক্ষীরার এই কৃতি সন্তান।
ভবিষ্যতে সাতক্ষীরার ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে কি ধরণের পরিকল্পনা রয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরে সোহলে ইসলাম বলেন, আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জেলার ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে চাই। এছাড়া সাতক্ষীরা জেলা টিমের কোচ মুফাছিনুল ইসলাম তপুর সাথে ধারবাহিকতা বজায় রেখে সাতক্ষীরা থেকে আরও ভালো ভালো ক্রিকেটার বোর্ডকে উপহার দিতে চাই। যেন তারা জেলার মর্যাদা আরও বাড়াতে পারে।
জাতীয় দলের ম্যাচ জয়ে কোচ হিসেবে অনূভুতি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ক্রিকেটাররা যখন মাঠে নামে তারা এটা জানে যে, দেশের মানুষ তাদের তাকিয়ে থাকে। মাঠে এই অনুভূতি নিয়েই তারা তাদের সেরা খেলাটা উপহার দেয়। সকল ক্ষেত্রেই ভক্তদের পাশে পেলে দল আরও বড় অর্জন বয়ে আনতে পারবে।
সাতক্ষীরার ক্রিকেটারদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বেশি করে ম্যাচ প্রাকটিস ও দুই-তিন দিন লঙ্গার ভার্সন ম্যাচের মাধ্যমে স্কিল ও টেকনিক নিয়ে কাজ করলে সাফল্য পাওয়া সম্ভব। এজন্য সেদিকে নজর দিতে হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version