Site icon suprovatsatkhira.com

শ্রীউলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৭

ডেস্ক রিপোর্ট: আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিলসহ অন্তত সাতজন আহত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শ্রীউলা ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদ রাকিবুল হাসান রাশেদ, শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা এলাহী, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শামীমুজ্জামান পলাশ, একই এলাকার সুরেশ মন্ডলের ছেলে দিপংকর মন্ডল, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জোয়াদ্দারের স্ত্রী সাহিদা খনম।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল বলেন, তিনি স্থানীয়দের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বৈঠক করছিলেন। এমন সময় ৭-৮টি মোটরসাইকেল নিয়ে সন্ত্রাসীরা ইউনিয়ন পরিষদে এসে আমার ওপর হামলা করে। তারা আমাকে লক্ষ্য করে চাইনিস কুড়াল দিয়ে কোপ মারতে যায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে শ্রীউলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলামের মাথায় কোপটি লাগে। এছাড়াও আরও দু’জন আহত হয়। পরে চারিদিক থেকে এলাকাবাসী ছুটে এসে ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে ফেলে।
অপরদিকে, আহত দিপংকর মন্ডল জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার পর পার্শ্ববর্তী খাজরা ইউনিয়নের কিছু নেতা-কর্মী শ্রীউলায় আসেন। তাদের নাস্তার ব্যবস্থা করার জন্য দিপংকর ও নজরুল ইসলাম শ্রীউলা বাজারে যান। বাজারে পৌঁছালে চেয়ারম্যান সাকিলের ছেলে সৌরভ রায়হান সাদ আকস্মিক তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। দিপংকর বিষয়টি শামীমুজ্জামান পলাশকে জানালে পলাশ ও জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে গেলে চেয়ারম্যান সাকিলের নেতৃত্বে তার ছেলে সাদ, ভাই শামীম, রেজাউল ইসলাম, রাকিবুল ইসলাম, মহিলা মেম্বর তহমিনা ও তার স্বামী শফিকুল, শহীদুল্লাহ, আব্দুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন জিআই পাইপ, লোহার রড, হাতুড়ি ও কুড়াল নিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এসময় তারা জীবন বাঁচাতে পাশর্^বর্তী একটি দোকানে আশ্রয় নিয়েও লাভ হয়নি। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। এসময় হাতুড়ি দিয়ে তারা শামীমুজ্জামান পলাশ ও জাহাঙ্গীরের মাথা থেতলে দেয়। মারপিট করে দিপংকরকেও। এখবর শুনে পলাশের বৃদ্ধামাতা সাহিদা খানম ঘটনাস্থলে আসলে চেয়ারম্যান সাকিলের স্ত্রী শাহাজান নাজনীন ঝর্ণা তাকেও মারপিট করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার নাথ জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে বলে শুনেছি।
এদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান সাকিল উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমের সমর্থক। আর সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শামীমুজ্জামান পলাশ সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হকের সমর্থক। মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version