Site icon suprovatsatkhira.com

রাসমেলা উপলক্ষ্যে পশ্চিম সুন্দরবনে দ্বিগুণ রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা

গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর: রাসমেলা উপলক্ষ্যে এবার দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের ৩টি স্টেশন থেকে ৪৫৮৭ জন দর্শনার্থী বুধবার সকাল ৯টায় বন বিভাগ থেকে পাশ নিয়ে আলোর কোল দুবলার চরের রাস মেলা উপলক্ষ্যে রওনা হন। বুধবার সকাল ৯টায় বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে দর্শনার্থীদের ব্যাপক সমাগম দেখা যায়। এসময় স্টেশন কর্মকর্তা কেএম কবির হোসেন প্রতিটি নৌযানে নাম্বারসহ বিভিন্ন নির্দেশনা সম্বলিত স্টিকার সেঁটে দেন। এসময় দর্শনার্থীদের নৌযানে সুন্দরবন ও নদী রক্ষায় সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন লক্ষ্য করা যায়।
বেসরকারি গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বারসিকের ইঞ্জিনচালিত নৌযানে সেভ সুন্দরবন, গ্রিন সুন্দরবন, বনের ভিতরে হর্ণ বা মাইক বাজাবেন না এধরনের সচেতনতামূলক বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন দেখা যায়।
সূত্র জানায়, অন্যবারের চেয়ে দ্বিগুণ দর্শনার্থী এবার আলোর কোলের উদ্দেশ্য পাড়ি দিয়েছেন। যার ফলে অন্যবারের চেয়ে রাজস্ব আয় দ্বিগুণ হবে বলে বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়।
বর্ণাঢ্য রাস উৎসব উপলক্ষে সুন্দরবন রক্ষায় বনবিভাগ এবার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গোটা সুন্দরবনে ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে সুন্দরবনের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না সুন্দরবনের কাঠ। উৎসব স্থলে মুরগি ও হাঁস ছাড়া অন্যকোন ধরনের মাংস নেওয়া যাবে না। এছাড়া পাকাকলা, দড়ি বহনে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আজ শুক্রবার দুবলার চর আলোর কোলে দিনের প্রথম জোয়ারে পূন্যস্নানের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এ রাস উৎসব। মঙ্গলবার দুপুর থেকেই পশ্চিম সুন্দরবন ৩টি বন অফিস থেকে ৩ দিনের জন্য জনপ্রতি ৫০ টাকা রাজস্ব প্রদান করে রাসমেলায় যেতে অনুমতিপত্র সংগ্রহ করেন দর্শনার্থীরা। বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা কেএম কবির হোসেন বলেন, রাসমোলায় সার্বিক নিরাপত্তাসহ হরিণ শিকাররোধে বনরক্ষীদের বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ টিমসহ এবার র‌্যাব, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
সুন্দরবনের দুবলার চরে আলোর কোলে হিন্দু ধর্মালম্বীরা ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাদের অনুসারী হরিভজন নামে এক সাধকের হাত ধরেই এ মেলার যাত্রা শুরু করে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version