Site icon suprovatsatkhira.com

যশোর-৪ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন ১০ প্রার্থী

বাঘারপাড়া (যশোর) প্রতিনিধি: বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত যশোর-৪ আসন থেকে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনলেন আওয়ামী লীগের ১০ প্রার্থী। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ নভেম্বর হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৩ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যশোর-৪ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এমপি রণজিৎ রায়, আলহাজ সোলায়মান হোসেন, কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও সাবেক সহ সম্পাদক এস এম আলমগীর হাসান রাজীব, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল, কৃষকলীগ নেতা আমজাদ হোসেন, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, সরদার ওলিয়ার রহমান, সাবেক মেয়র এনামুল হক বাবুল ও সাবেক হুইপ শেখ আব্দুল ওহাব।
আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হ্যাট্টিক করতে এমপি রণজিত রায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৯৭১ সালে বন্দবিলা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। বিভিন্ন মেয়াদে একাধিকবার ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতির মাঠে সূদীর্ঘ পথচলা। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি রণজিত রায়ের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে এমপি তনয় ডাঃ সজিব রায়।
রণজিত রায় বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। সাধারণ মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা প্রতীকে ২৩ ডিসেম্বর ভোট দিয়ে আমাকে পুনরায় নির্বাচিত করবেন বলে আমি আশাবাদী। আওয়ামী লীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল। মনোনয়ন অনেকেই চাইতে পারেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার সম্পূর্ণরুপে বিশ্বাস ও আস্থা আছে। তিনি আমার ব্যাপারে যথেষ্ঠ আন্তরিক এবং আমিই মনোনয়ন পাব বলে বিশ্বাস করি।” উল্লেখ্য যশোর-৪ আসনে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রণজিত রায় বিজয়ী হন। ২০১৪ সালে রণজিত রায়কে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় নিজ দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী অভয়নগরের বাসিন্দা অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল ওহাবের সাথে। আওয়ামী লীগের আরেক জনপ্রিয় নেতা আলহাজ মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হোসেনের পক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে বাঘারপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক (১৯৮৮-২০০১)। তিনি বলেন, ‘‘আমি মনোনয়ন ফরম কিনেছি এবং নৌকা প্রতীক পাব। জননেত্রী শেখ হাসিনা সার্বিক দিক দিয়ে আমার বিষয়ে বিবেচনা করবেন বলে আশাবাদী।” এছাড়া আওয়ামী লীগের আরেকপ্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মাঠে রয়েছেন কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ও সাবেক সহ সম্পাদক এস এম আলমগীর হোসেন রাজীব। ১৯৯৪ সালে খুলনা বি.এল কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। পরবর্তীতে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও খুলনা মহানগর শাখার সহসভাপতি পদে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, “ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছি। দলীয় সভানেত্রী নমিনেশন দিলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এলাকার উন্নয়ণে আমরণ চেষ্টা করবো।’’ আরেক প্রার্থী সাবেক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল ইসলাম কাজল। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একজন সক্রিয় নেতা। নির্বাচনী মাঠে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় এ নেতা বলেন, ‘‘তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমার সঙ্গে আছে। আমি মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি এবং নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেলে বিজয়ী হবো ইনশাল্লাহ।”
অপরদিকে অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীরের পক্ষে মনোনয়ন ক্রয় করেন পীরজাদা মরহুম শাহ হাদীউজ্জামানের কনিষ্ঠ পুত্র শাহ খালিদ মামুন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রার্থীরা দলীয় হাইকমান্ডের সুবজ সংকেতের প্রহর গুণছেন। নির্বাচনী এলাকার জনগণও চায়ের দোকানগুলোতে প্রার্থীদের আলোচনা ও সমালোচনা করছেন। আগামী ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কে হবেন নৌকার মাঝি এ নিয়ে চলছে নির্বাচনী এলাকায় চুলচেরা বিশ্লেষণ।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version