যশোর অফিস: মুস্তাফিজুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ীর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুরে শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ঈদগাহ মাঠের সামনে আব্দুল হাইয়ের মার্কেটে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে গলায় রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
শহরের এক নারীর সাথে পরকীয়া এবং অনেক ঋণগ্রস্ত হওয়ার ঘটনার জেরে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। মৃত মুস্তাফিজুর রহমান শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
মৃতের স্ত্রী হাসনা হেনা জানিয়েছেন, তার স্বামীর শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ঈদগাহের সামনে বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বাতি ঘর নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তার স্বামী প্রতিদিন সকালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান।
২২ নভেম্বর সকালে বাড়ি থেকে যাওয়ার পরে আর ফেরেননি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার কোন সন্ধান পাইনি। এ কারণে ২৩ নভেম্বর কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
সোমবার সকালে দোকানের আশপাশের লোকেরা ভিতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে তাদের বাড়িতে সংবাদ দেয়। এরপর তিনিও সেখানে গিয়ে দুর্গন্ধ পেয়ে দোকানের সার্টার ভেঙ্গে দেখেন গলায় ফাঁস লাগানো তার স্বামী মৃত লাশটি অর্ধ গলিত অবস্থায় ঝুলন্ত রয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, উপশহর সারথী মিল এলাকার এক নারীর সাথে তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে কিছু দিন আগে স্থানীয় শালিস বিচারের মাধ্যমে ওই নারীকে দেড় লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার স্বামী ইসলামী ব্যাংক থেকে ৬ লাখ এবং ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ৪ লাখ ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের দায়ে অথবা পরকীয়ার বিষয়ে শালিস বিচারের কারণে তার স্বামী আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছেন।
দোকানের কর্মচারি জাবেদ বলেছেন, বৃহস্পতিবার কর্মচারিদের বেতন দিয়ে রাতে চাবি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যান। তারপর থেকে দোকান এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই খবির হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরে ডিউটি করাতকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্সসহ শহরতলীর ঝুমঝুমপুর ঈদগাহের সামনে যান। সেখানকার বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বাতি ঘরের মধ্যে থেকে মুস্তাফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
যশোরে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/