মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি: মণিরামপুরের নেহালপুর ঋষিপল্লীর কলেজ ছাত্রী লাবণী(২০)কে হত্যা করা হয়েছিলো। ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার প্রমাণ মেলায় ঘটনার ৮০দিন পর পুলিশ এ ঘটনায় ২জনকে আটক করেছে। এরা হলো লাবণীর শ্বশুর গৌরপদ দাস (৫০) ও শাশুড়ি মালণী দাস (৪০)। পুলিশ সোমবার ময়না তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পায়। এ ঘটনায় সোমবার ৭ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূলহোতা পরশ দাস পলাতক রয়েছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার নেহালপুর ঋষিপল্লীর স্বপন দাসের কন্যা লাবণী দাস (২০) কে চলতি বছরের ২৯ আগস্ট রাতে হত্যা করে তার লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। লাবণীর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা প্রচার কওে সে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনার পরদিন মণিরামপুর থানায় অপমৃত্যু মামলা (নং- ৪৯)। কিন্তু পিতা-মাতাসহ স্থানীয়দের দাবি লাবণীকে পরিকল্পিতভাবে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা হত্যা করে লাশ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রেখে হত্যা ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে। ওই বধূ মণিরামপুর ডিগ্রী কলেজের অনার্সের ছাত্রী ছিলো। তার এই মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলতে নারাজ ছিল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকার সর্বমহল।
হত্যাকান্ডে জড়িত স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িকে আটক ও হত্যা মামলার দাবিতে লাবণীর সহপাঠী, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের লোক উপজেলাসদরসহ বিভিন্ন এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। কিন্তু পুলিশ এ দাবিকে উপেক্ষা করে তড়িঘড়ি করে একটি অপমৃত্যু মামলা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে রাখে বলে অভিযোগ।
এদিকে আলোচিত এ ঘটনার ডাক্তারী প্রতিবেদন পুলিশ হাতে পেয়ে সোমবার সকালে লাবণীর শ্বশুর গৌরপদ দাস (৫০) ও শাশুড়ি মালনী দাস (৪০) কে আটক করে থানায় আনেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আব্দুর রহমান জানান, ডাক্তার মতামত দিয়ে বলেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য আটক দু’জনসহ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের নামেও হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলার বাদী লাবণীর পিতা স্বপন দাস জানান, তার কন্যাকে ১০/১২ জনে মিলে হত্যা করে লাশ আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে। তবে, ঘটনার মূল হোতা ওই বধূও স্বামী পরশ দাস পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে আটক করতে পারেনি।
ময়না তদন্তে প্রমাণিত: হত্যা করা হয় মণিরামপুরের কলেজ ছাত্রী লাবনীকে
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/