Site icon suprovatsatkhira.com

মঙ্গলবার আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল ভোমরা বন্দরে, ফের চালু হবে আজ

আবিদ হোসেন, ভোমরা: মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় পরিমাপ পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না করায় হয়রানি ও ক্ষতির আশংকায় ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। যদিও রাতেই সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের হস্তক্ষেপে আজ (বুধবার) থেকে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের পণ্য আনলোডের পর্যাপ্ত স্থান, ট্রাক লোড-আনলোডের যান্ত্রিক উপকরণ প্রভৃতির ন্যূনতম সক্ষমতা নাথাকা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) সকাল থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয় পরিমাপ পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করায় ২২টি আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশের পরই বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ব্যবসায়ীরা দফায়-দফায় বৈঠক করেও কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে না পারায় সন্ধ্যায় সদর থানার ওসির হস্তক্ষেপে পুরাতন পদ্ধতিতেই আজ থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এবিষয়ে ভোমরা বন্দরের বিশিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী খালিদ হাসান শান্ত বলেন, ভোমরা বন্দরের বিপরীতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বন্দরে স্বয়ংক্রিয় পরিমাপ পদ্ধতি চালু না থাকায় ভোমরা বন্দরে পরিমাপ করেই পণ্যের পরিমাণের ঘোষণা দিয়ে আমদানি ছাড়পত্র গ্রহণ করতে হয়। ভারতের সনাতন পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে আমদানি ছাড়পত্রে পণ্যের পরিমাণের আগাম ঘোষণা দিলে জরিমানা ও শাস্তির আশংকা থেকেই যায়। আমদানি পণ্যবাহী খালি ট্রাকের ওজন পাওয়ার পরই পণ্যের পরিমাণের সঠিকতা যাচাই সাপেক্ষে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানি ছাড়পত্র দিয়ে থাকেন। ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আমদানিকৃত পণ্য খালাসের পর্যাপ্ত স্থান ও উপকরণ না থাকায় খালি ট্রাকের ওজন নিয়ে আমদানি ছাড়পত্র দিতে কাস্টমস কর্তপক্ষ বড় সমস্যার সম্মুখিন হবেন।
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, অটোমেশন চালুর বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের আলোচনা হয়েছে। ভারতীয় অংশে পরিমাপের সনাতন পদ্ধতি চালু থাকা, বন্দর অভ্যন্তরে ট্রাক লোড-আনলোডের পর্যাপ্ত স্থান ও যান্ত্রিক উপকরণ না থাকা প্রভৃতি সমস্যার সমাধান হলেই অটোমেশন চালুর আবেদন করেছি। এইসব সমস্যা বিদ্যমান রেখেই অটোমেশন চালু করলে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত জরিমানা ও শাস্তির সম্মুখিন হবেন এবং প্রতিদিন ১০০-১৫০ এর বেশি ট্রাক ছাড় করা সম্ভব হবে না।
ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম জানান, নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আদেশে শুল্ক আদায়ে স্বচ্ছতা ও সঠিকতা আনার লক্ষ্যেই অটোমেশন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। গত ২২ নভেম্বরের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রধান কার্যালয়কে জানানো হলে প্রধান কার্যালয় থেকে ২৫ নভেম্বর পত্র মারফত পূর্ণাঙ্গ অটোমেশন চালুর বিষয়ে কড়া নির্দেশনা প্রদান করে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version