Site icon suprovatsatkhira.com

ভোমরায় পঁচা পেয়াজে পরিবেশ দূষণ

আবিদ হোসেন, ভোমরা প্রতিনিধি: পঁচা পেয়াজের গন্ধে ভোমরা স্থলবন্দরসহ পাশ্ববর্তী এলাকার পরিবেশ দূষিত হয়ে পড়েছে। ভোমরা ঘোষপাড়া এবং নবাতকাটি এলাকায় পঁচা পেয়াজের দূষিত গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কিছু কিছু গোডাউনের সামনে এবং ঘোষপাড়া ও নবাতকাটির বিস্তীর্ণ এলাকায় সারি সারি ফেলে রাখা হয়েছে পঁচা পেয়াজের বস্তা। হতদরিদ্র কিছু মানুষ সেই বস্তা থেকে খাওয়ার উপযোগী পেয়াজ খুঁজতেই ছড়িয়ে ফেলছেন পঁচা পেয়াজ। সেই পেয়াজের গন্ধে ভোমরা স্থলবন্দর এলাকার মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। পথচারীরা প্রতিদিন নাকচাপা দিয়ে পথ চললেও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা। পঁচা পেয়াজের বিষক্রিয়ায় নবাতকাটি এলাকায় অসংখ্য গাছ মারা গেছে যা পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
এবিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের বিশিষ্ট আমদানিকারক মেসার্স বিএস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারি আবুল হোসেন বলেন পেয়াজ পঁচনশীল পণ্য হওয়ায় সুদূর নাসিক থেকে ভোমরা বন্দর পর্যন্ত পৌঁছাতে ২-৫ বস্তা পঁচে যাওয়াই স্বাভাবিক, এটা মেনেই আমাদের আমদানি করতে হয়। ভোমরা স্থলবন্দরের মত বিশাল ব্যবসাকেন্দ্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন সময়ের দাবি। বন্দরের প্রতিটি ব্যবসায়ীকে ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড-লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করতে হয় বিধায় ভোমরা স্থলবন্দরের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠনকে সাথে নিয়ে ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদ বন্দরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দ্রুত উদ্যোগ নেবে এমনটাই আমরা আশা করি।
প্রায় একই সুরে কথা বললেন ভোমরা আড়তদার সমিতির সভাপতি শাহানুর ইসলাম শাহীন এবং ভোমরা কাস্টমস সিএন্ডএফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম। তারা আরো দাবি করেন যে ভোমরা স্থলবন্দরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পুর্ব পর্যন্ত ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবসায়ীদের বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করুক।
ভোমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন বর্জ্য ফেলার কোন নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করতে না পারায় ইছামতি নদীতে বন্দরের বর্জ্য ফেলার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনা করেছি। দু-একদিনের মধ্যে মাইকিং করে বিষয়টি সকলকে জানানো হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version