নভেম্বর ২০, ২০১৮
দেবহাটার আ’লীগ নেতা রায়হান হত্যার ৫ বছর: মামলার অগ্রগতি নেই
![]() মীর খায়রুল আলম, দেবহাটা: দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হানের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে পারুলিয়া আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। সেসময় সরকার বিরোধী আন্দোলন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে হত্যা, জখম, ভাঙচুর লুটপাট, বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ চালিয়ে সাতক্ষীরাকে অশান্ত করে তোলে বিএনপি-জামায়তের নেতাকর্মীরা। তারই জের ধরে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারির আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত জোটের সরকার হটাও আন্দোলন শুরু হয়। আর ঠিক সেই সময়ের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় পারুলিয়াস্থ আওয়ামী লীগ অফিস চত্বরে আবু রায়হানের সাথে বসে কথা বলছিলেন তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (কালীগঞ্জ সার্কেল) তাজুল ইসলাম, তৎকালীন ওসি কেরামত আলী ও ডিএসবি মোস্তফা আজম। রাত পৌনে ৮টার দিকে সেখান থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা উঠে যাওয়ার মাত্র দুএক মিনিটের মধ্যেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন করা হয় পারুলিয়া এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ ও জেনারেটরের সংযোগ। গোটা চত্বর অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার সাথে সাথে মুখোশ পরিহিত অবস্থায় সম্মিলিতভাবে বাঁশি বাজিয়ে আতংক সৃষ্টি করে তাৎক্ষনিক হামলা চালানো হয় তার ওপর। সাথে সাথেই আতংকে জনশূন্য হয়ে ওঠে চত্বরটি। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দৌঁড়ানোর চেষ্টা করলে পাশের মোমেনা বস্ত্রালয়ের কাছে পৌঁছাতেই আবু রায়হানকে লক্ষ্য করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করতে থাকে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া ক্যাডাররা। তাদের উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মৃত্যু নিশ্চিত হতে ফের আঘাত করা হয় তার গলায় ও মাথার কয়েকটি স্থানে। ঘটনার পরপরই দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ক্লোজ করা হয় তৎকালীন দেবহাটা থানার ওসি কেরামত আলী, সহকারি পুলিশ সুপার তাজুল ইসলামকে। অন্যত্র সরানো করা হয় তৎকালীন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেনকে। 7,760,838 total views, 14,468 views today |
|
|
|