Site icon suprovatsatkhira.com

টনক নড়ছে ১৩ জনের মৃত্যুর পর: তালায় আর্সেনিক প্রতিরোধে মাঠে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তর

সৌমেন মজুমদার, তালা: অবশেষে সাতক্ষীরার তালায় ভয়াবহ আর্সেনিক প্রতিরোধে স্থানীয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্ত মাঠে নেমেছে। সম্প্রতি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় ভয়াবহ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ বছরে একই পরিবারের চার জনসহ ১৩ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হলে স্থানীয় উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে আর্সেনিক প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এতে এলাকার ভুক্তভোগী মানুষের মাঝে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে জালালপুর, মাগুরা, খলিশখালী এবং খেশরা ইউনিয়নের মানুষ ভয়াবহ আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছেন। তবে এর মধ্যে বেশির ভাগ জালালপুর ইউনিয়নের মানুষ মাত্রার অধিক ঝুঁকিতে।
অন্যদিকে তালা সদর, মাগুরা, খলিশখালী, খেশরাসহ অন্য ইউনিয়নগুলো রয়েছে কিছুটা সহনীয় মাত্রায়। জালালপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণকাটি গ্রামে ভয়াবহ আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ বছরে একই পরিবারের ৪ জনসহ ১৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের শ্রীমন্তকাটী গ্রামেও রয়েছে আর্সেনিকের ব্যাপকতা। মাঝে মধ্যে এনজিও প্রতিষ্ঠান বার বার এলাকা পরিদর্শন এবং জরিপ করলেও অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। তবে এবার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জোরালোভাবে কার্যক্রম শুরু করায় এলাকাবাসীর মুখে খুশির হাসির ছাপ দেখো গেছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে ইতোপূর্বে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এই মুহুর্তে সুপেয় পানির জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বড় ধরনের ট্যাঙ্কী অথবা বড় কোন জলাশয়ের ব্যবস্থা করা হলে আর্সেনিক আক্রান্ত জালালপুর, মাগুরা এবং খেশরা ইউনিয়নের মানুষ বাঁচবে বলে দাবি করেছেন।
জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু জানান, তালা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে আর্সেনিক ভাইরাস আছে। কিন্তু জালালপুর ইউনিয়নে আর্সেনিকের মাত্রা ভয়াবহ। ইতোপূর্বে আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে কৃষ্ণকাটী গ্রামের একই পরিবারের ৪ জনসহ অনেকেই মারা গেছে। কিন্তু এব্যাপারে এখনও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তবে সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহাকরী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান বলেন, তারা কৃষ্ণকাটী গ্রামের আর্সেনিক আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাতে বর্তমানে গোসল এবং পানযোগ্য পানিতে সহনীয় মাত্রার অনেক উর্দ্ধে রয়েছে আসেনিকের মাত্রা। বর্তমানে যে পরিস্থিতি সেখানে রয়েছে তাতে অতিদ্রুত কোন ব্যবস্থা করতে হবে বলে তিনি জানান। এ ব্যাপারে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এবং তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলেছেন বলেও জানিয়েছেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version