Site icon suprovatsatkhira.com

জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করে বিপাকে এক ব্যক্তি: হুমকির অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে কালিগঞ্জের সরকারি খাস ও চরভরাটি জমি দখল করে অবৈধভাবে ইটভাটা নির্মাণের প্রতিকার দাবি করায় ভাটা মালিক ওই এলাকার এক সাবেক ইউপি মেম্বর ও তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতিসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কালিগঞ্জের রাজাপুর গ্রামের মৃত তালেব আলী মোড়লের ছেলে সাবেক ইউপি মেম্বর রইছুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত গফ্ফার খানের ছেলে আব্দুস সাত্তার খান পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে কালিগঞ্জ উপজেলার চান্দুলিয়া, তেতুলিয়া ও গোবিন্দকাটি মৌজার আংশিক অংশে সরকারি খাস ও চরভরাটি জমি দখল করে একতা ব্রিকস্ নামের একটি ইটভাটা নির্মাণ করছেন। এজন্য তিনি বেড়িবাঁধের উপর পাকা ঘর নির্মাণ করে বাঁধের পাশের সরকারি খাস জমি ও চরভরাটি জমিতে বড় বড় গর্ত করে মাটি নিয়ে ইট তৈরী করছিলেন। এছাড়া ঘুশড়ি ইটভাটা থেকে একতা ব্রিকস্ পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার পাউবো’র বেড়িবাঁধের উপর দিয়ে ভাটার ইট, কয়লা, কাঁচা কাঠ ও টায়ারের গুড়া ইত্যাদি বহনকারী ট্রাক ও ট্রাকলরি চলাচল করায় রাস্তাটি নষ্ট হয়ে জনসাধারণের চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। গত ৮ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিষয়টি সর্ম্পকে জেলা প্রশাসককে অবহিত করে এর প্রতিকার দাবি করা হয়। জেলা প্রশাসক কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না থাকায় ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করাসহ ভাটার আগুন নিভিয়ে দেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, এঘটনা জানতে পেরে ভাটার মালিক আব্দুস সাত্তার খান তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আব্দুস সাত্তার খান তাকেসহ তার পরিবারের সদস্যদের জানমালের ক্ষতি এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। ভাটা মালিকদের হুমকিতে বর্তমানে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি আরো বলেন, আব্দুস সাত্তার খান মাটির লেবার সরদারি কাজের আড়ালে চোরাচালানি করে প্রচুর অর্থের মালিক হয়েছেন। বিজিবি’র হাতে আটক হওয়া একটি চোরাচালানি মামলায় তিনি ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। বর্তমানে উচ্চ আদালতে আপিল করে জামিনে আছেন। এই অবৈধ টাকার কারণে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। তার অত্যাচারে এলাকার সাধারণ জনগণ অতিষ্ঠ।
তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ইট ভাটা নির্মাণ করায় আব্দুস সাত্তার খানের শাস্তি দাবি করে তাদের দ্বারা মিথ্যা মামলা ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় রুহুল আমিন গাজী, সোহাগ গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version