শেখ শাহীন, কেশবপুর (যশোর): যশোরের কেশবপুরের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য চাল কুমড়ার বড়ি তৈরিতে গ্রামীণ বধূরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অতিথি আপ্যায়ন, আতœীয় স্বজনের বাড়িতে সরবরাহসহ অনেকে পেশা হিসেবে বড়ি তৈরি করে করেন। শীতের সবজিতে চাল কুমড়ার বড়ির ব্যবহার আজও গ্রাম বাংলার সেই পুরনো চিত্র ফুটে ওঠে। উপজেলার অধিকাংশ বাড়িতে শীতের এ সবজি তৈরিতে চলছে উৎসব।
শীতের শুরুতে আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলায় চাল কুমড়ার বড়ির ব্যবহার হয়ে আসছে। এজন্য উপজেলার অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা শ্রাবণ ভাদ্র মাসে মাসকলাইয়ের আবাদ করেন। শীতের শুরুতেই এ কলাই কৃষকের ঘরে ওঠে। তখন চাল কুমড়ার সাথে এ কলাই মিশিয়ে পেস্ট করে বড়ি বানানো হয়। শীতের সবজির সাথে এ বড়ি দিয়ে রান্না করলে তরকারির স্বাদ বেড়ে যায়। এ কথা বিবেচনা করে গ্রামীণ জনপদে আবহমান কাল থেকে বড়ির প্রচলন রয়েছে। গ্রামীণ নারী শ্রমিকরা এ বড়ি তৈরি করেন। শিশুরাও এ উৎসবে আনন্দে মেতে ওঠে। অনেকেই এ পেশার সাথে জড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
মজিদপুর গ্রামের গৃহবধূ রেখা বেগম জানান, তিনি এবছর ১২ কেজি চালকুমড়ার বড়ি দিয়েছেন। আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বিতরণ শেষে তিনি সারা বছর খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন। শহরের আত্মীয় স্বজনদের কাছে এর কদর সবচেয়ে বেশি। শীতের শুররুতই এর চাহিদা মেটাতে তাই তারা গ্রামের আত্মীয় স্বজনদের অপেক্ষায় থাকেন। যার কারণে গ্রামের ঘরে ঘরে চলে চালকুমড়ার বড়ি তৈরির উৎসব।
চাল কুমড়ার বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত কেশবপুরের বধূরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/