চাম্পাফুল প্রতিনিধি: কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুলে খোলপেটুয়া খালের চর জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানিয়েছে, খোলপেটুয়া খালের দৈর্ঘ্য ১০ কিলোমিটার। এই খালের পানি ব্যবহার করেই পার্শ্ববর্তী ১০০০ হেক্টর জমিতে ঘের ও চাষাবাদ করেন এলাকাবাসী। কিন্তু ১৯ বছর ধরে খালটি খননের অভাবে বর্তমানে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে।
বিশিষ্ট ঘের মালিক তারক নাথ কুন্ডু সুপ্রভাত সাতক্ষীরা প্রতিনিধিকে জানান, খোলপেটুয়া খালের পানি পাঁচ গ্রামের মানুষ ব্যবহার করেন। তিনি আরও বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা খালের মাঝ বরাবর পাটা বসিয়ে রাখায় জোয়ার ভাটার পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যার কারণে খালের দুপাশে চর পড়ছে। খালে পর্যাপ্ত পানি না থাকলে আমরা ঘেরে পানি উত্তোলন করতে পারি না। বিশেষ করে ফাল্গুন, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি। আর ওই তিন থেকে চার মাস ঘেরে পানি কম থাকায় ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ৯০% ঘের, বাংলাদেশের সাদা সোনা বাগদা, গলদা ও কাঁকড়া।
তাছাড়াও খোলপেটুয়া খালের দু’ধার দিয়ে অবস্থিত গুচ্ছগ্রাম। এই গুচ্ছগ্রামের জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে খালের দুপাশে খাস জমির দখলদার বেড়ে চলেছে। এমনকি খালের পাশে ল্যাট্রিন বানিয়েছেন কেউ। এতে পরিবেশ ও পানি দূষিত হচ্ছে। এলাকার মানুষ খোলপেটুয়া খালটি খনন ও পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।