কেশবপুর প্রতিনিধি: কেশবপুরে কপোতাক্ষ সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের অফিস সহায়কের বিরুদ্ধে নির্মাণাধীন আইসিটি ভবনের পাঁচ হাজার ইট চুরির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ফাঁস হয়ে গেলে তাৎক্ষণিক এক জরুরী সভা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়।
খোঁজ জানা গেছে, উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের বরনডালি গ্রামে কপোতাক্ষ সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজটি অবস্থিত। ওই কলেজের কক্ষ সংকটের কারণে গত ৫ মাস আগে চার তলা বিশিষ্ট একটি আইসিটি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন যশোরের জনৈক ঠিকাদার। কাজের শুরুতেই ঠিকাদারের ফোরম্যান সাদ্দাম হোসেন ও কলেজের অফিস সহায়ক রহমত আলী যোগসাজশে ৫ হাজার ইট চুরি করে। ৪-৫ মাস পূর্বে ঘটনাটি ঘটলেও গত ১৮ অক্টোবর তা ফাঁস হয়ে যায়। এ ঘটনায় ঠিকাদার তার ফোরম্যান সাদ্দাম হোসেনকে প্রত্যাহার করেন। এ সময় জনরোষ ঠেকাতে কলেজের অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক এক সালিসে ঘটনটি ধামা চাপা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অফিস সহায়ক রহমত আলী চুরির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমি ইট চুরি করিনি। ঠিকাদারের ফোরম্যান সাদ্দাম হোসেন তার কাছে ই্ট বিক্রি করেছিল। তা ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওই কলেজের অধ্যক্ষ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পাঁচ হাজার ইট নয়। এক গাড়ি (দু’হাজার) ইট চুরির ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করা হয়েছে। সভাপতি ঢাকা থেকে ফিরলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট হুসাইন মো. ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। কেশবপুরে ফিরে ঘটনাটি সত্যতা হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কেশবপুরে কপোতাক্ষ কলেজের পিয়নের বিরুদ্ধে ইট চুরির অভিযোগ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/