Site icon suprovatsatkhira.com

কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুরে কর্মসৃজন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ, কালিগঞ্জ: কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার গোলাম রব্বানির বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে শনিবার (২৪ নভেম্বর) ওই ওয়ার্ডের কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে দেখা যায়, ২৮ জনের পরিবর্তে কাজ করছে মাত্র ১৯ জন। তাছাড়া কর্মসূচির কাজের স্থানে একজন সুপারভাইজার থাকার কথা থাকলেও কারও কোন খোঁজ মেলেনি।
গ্রামের আহম্মদ আলী, সালাম মোড়ল, রেজাউল করিম, সবুর হোসেন, ফিরোজ হোসেনসহ ওই এলাকার আরও কয়েকজন সুপ্রভাত প্রতিনিধিকে জানান, ২নং ওয়ার্ডেও মেম্বার প্রতিবার সরকারি কর্মসৃজনশীল প্রকল্পের লোক দিয়ে তার নিজের জমির ধান কাটাসহ তার ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নেন। এবারও সে কর্মসূচির লোক দিয়ে তার বাড়ির ধান ভাঙানোসহ বিভিন্ন কাজ করিয়ে নিচ্ছেন। এছাড়াও ২৮ জন লোক দিয়ে কর্মসূচির কাজ করানোর কথা থাকলেও তিনি ১৯ জনকে দিয়ে হরহামেশা এই কাজ করাচ্ছেন। অন্যরা কাজ না করলেও হাজিরা খাতায় তাদের উপস্থিত দেখিয়ে ৪০ দিনের বেতনের টাকা তুলে নিচ্ছেন। পরবর্তীতে ভাগবাটোয়ারা করে অর্ধেক টাকা নেবেন ইউপি সদস্য আর কাজ না করেও সরকারি টাকার বাকি অর্ধেক নেবেন অনুপস্থিত ওই কাজের লোকেরা।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার বাড়িতে কর্মসৃজনশীল প্রকল্পের লোক দিয়ে কাজ করানোর কথা মিথ্যা। তবে কর্মসূচির কতজন লোক কাজ করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯ জন কাজ করছে। বাকিরা কাজ করছে না বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন বলেন, কর্মসৃজনশীল প্রকল্পের কাজের লোক দিয়ে কোন জনপ্রতিনিধির নিজের বাড়িতে কাজ করানোর সুযোগ নেই। তবে কেউ যদি এমন কিছু করে থাকে তাহলে তার দায়ভার তাকে নিতে হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মিয়ারাজ হোসেন খাঁনের কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের বাইরে কারও কাজ করানোর সুযোগ নেই। তারপরও যদি কোন ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version