Site icon suprovatsatkhira.com

একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের ইশতেহারে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন খাত অন্তর্ভুক্তির দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের ইশতেহারে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে ‘ঐতিহ্য : উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরাম’ এই সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ‘ঐতিহ্য: উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরাম’র সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত কয়েক দশকে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতে বাংলাদেশ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় সকলের জন্য নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতেও ওয়াশের বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে। কিন্তু কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে আমাদের পথচলার এখনও অনেক বাকী। বর্তমানে দেশের ৯৭ ভাগ মানুষের পানিতে অভিগম্যতা থাকলেও লবণাক্ততা, আর্সেনিক ও আঞ্চলিক দুর্গমতা বিবেচনায় সুপেয় নিরাপদ পানিতে ৬০ ভাগ মানুষের অভিগম্যতা নেই। এছাড়া নিরাপদ ও টেকসই স্যানিটেশন সেবার আওতায় এসেছে মাত্র ৪৭ ভাগ মানুষ। এমতাবস্থায় ওয়াশ খাতকে গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের ইশতেহারে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) খাতকে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সাত দফা দাবি জানানো হয়।
দাবিগুলো হলো- দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের ঘরে ঘরে সুপেয় পানি নিশ্চিতকরণ, ক্রমবর্ধমান লবণাক্ততা ও আর্সেনিক সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি পুকুর, খাল ও জলাধার উদ্ধার করে মিষ্টি পানির আধারে পরিণত করা এবং ব্যবহার নিশ্চিত করা, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকল প্রতিষ্ঠানে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীবান্ধব স্যানিটেশন সেবা নিশ্চিত করা, দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ এলাকা এবং শহরের বস্তি ও নি¤œ আয়ের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীসহ সকলের জন্য ওয়াশ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, জলাভূমি রক্ষা করে যে কোন উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালনা, পানি ও স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে নতুন স্থাপনা নির্মাণের পাশাপাশি পুরাতন স্থাপনাগুলোকে সংস্কার ও মেরামতের মাধ্যমে সচল রাখার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আব্দুল হামিদ, সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির আহবায়ক আনিসুর রহিম, সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক ফাহিমুল হক কিসলু, সুশীলনের উপ-পরিচালক মোস্তফা আখতারুজ্জামান, ‘ঐতিহ্য : উপকূলীয় পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফোরাম’ সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী, আশ্রয় ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মমতাজ খাতুন, মুক্তি ফাউন্ডেশনের পরিচালক গোবিন্দ মন্ডল প্রমুখ।
এসময় মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ৬০ ভাগ নয়, ১০০ ভাগ মানুষ সুপেয় পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রকল্প না থাকলে এই অঞ্চল নিয়ে আর কেউ ভাবে না। কিন্তু এই সমস্যাটি সবার দৃষ্টিতে আসা উচিত। এই ইস্যুটা রাজনৈতিক নেতা বা নির্বাচনী প্রার্থীর অঙ্গীকারে আসা উচিত। শুধু এই একটা বিষয় না জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই অঞ্চলের মানুষ মাইগ্রেট হচ্ছে। বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পৌর এলাকার চারিদিকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এটা নিয়ে ভাবা উচিত। আজ বেতনা দখল হচ্ছে, খাল দখল হচ্ছে, খাস জমি দখল হচ্ছে এটা নিয়ে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version