ডেস্ক রিপোর্ট: কলারোয়ায় অবৈধভাবে ইটভাটা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত করিম বক্স গাজীর ছেলে জিএম মিজানুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতিবাদ করেন। লিখিত বক্তব্যে মিজানুর বলেন, আমি বিগত ২০০২ সালে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দমদম বাজারে কয়েকজন জমির মালিকের কাছ থেকে লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বৈধভাবে মেসার্স রহমান ব্রিকস নামীয় ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। সম্প্রতি আমার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পাঁচপোতা এলাকার জাকের আলী মোড়লের ছেলে ফয়জুল্লা হোসেনের সাথে ৫০% পার্টনারশীপে ৫ বছরের জন্য গত ২০১৮ সলের ৫ এপ্রিল বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হই। চুক্তিতে উল্লেখ ছিলো নগদ ৫০ লক্ষ টাকা আমাকে দিয়ে পার্টনার হতে হবে। কিন্তু তিনি নগদ মাত্র ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে বাকি টাকা পরে দেবেন এই মর্মে আমরা উভয় পক্ষ চুক্তি পত্রে স্বাক্ষর করি। স্বাক্ষরের পরপরই ফয়জুল্লা হোসেন নিজের নামে স্বত্বাধিকারী দিয়ে মেসার্স দমদম ব্রিকস ও মেসার্স রহমান ব্রিকসের নামে বিভিন্ন ধরনের মেমো তৈরি করে নতুন ইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে ইট দেওয়ার শর্তে অগ্রিম প্রায় এক কোটি টাকা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন মাধ্যমে এ খবর পেয়ে আমি তাকে হিসাব করার জন্য আসতে বললে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে কিছু সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তিদের তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে মোবাইলের মাধ্যমে আমাকে হত্যাসহ বিভিন্ন হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করতে থাকেন। এরই জের ধরে গত অক্টোবর মাসের ১৪ তারিখে তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় আমার ভাটার নাম পরিবর্তন করে সেখানে মেসার্স দমদম ব্রিকস প্রো. ফয়জুল্লা হোসেন লেখেন। এছাড়া আমার জিকজাক ভাটার চিপনীতে খোদায় করে ‘রহমান ব্রিকস, আরবিএফ লেখা ছিল যেটি ওই বাহিনী লোকজন ভেঙে ফেলে মেসার্স দমদম ব্রিকসের নাম লেখেন। বর্তমানে ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর সহযোগিতায় ফয়জুল্লা হোসেন ভাটাটি সম্পূর্ণ তার নিজ দখলে রেখেছেন। সেখানে আমাকে যেতে দিচ্ছেন না। আমি সেখানে গেলে আমাকে খুন, জখম ও হত্যার হুমকি প্রদর্শন করছেন। এঘটনার পর পরই বিজ্ঞ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমি তার সাথে চুক্তিটি বাতিল করি। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত কোন দপ্তর থেকে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি ফয়জুল্লা’র হাত থেকে ইটভাটাটি উদ্ধার এবং তার জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।