আবু রায়হান, কৈখালী: বিধবা হয়েছেন ২০ বছর আগে। এরপর একটি বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে। তবুও মেলেনি বিধবা ভাতার কার্ড।
বলছি শ্যামনগরের কৈখালী ইউনিয়নের মৃত সন্ন্যাসী পরমান্যের স্ত্রী বাসন্তী পরমান্যের কথা। স্বামী হারানো বাসন্তী পরমান্য চার সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করলেও খোঁজ নেন নি কেউ। একটি বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য বার বার কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদে ছবি, আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা দিলেও কার্ড হয়নি তার। পরিষদের লোকেরা বারবার তাকে বলে জমা দেওয়া কাগজগুলো হারিয়ে গেছে। সংবাদকর্মীদের পেয়ে এভাবে মনে পুশে রাখা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বাসন্তী পরমান্য।
জানা যায়, বাসন্তী পরমান্য চারটি সন্তান নিয়ে ২০ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
তিনি জানান, একটি বিধবা ভাতার কার্ডের আশায় বার বার ইউনিয়ন পরিষদে গিয়েছি। কয়েকবার ছবি ও আইডি কার্ডের ফটোকপিও জমা দিয়েছি। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাজ্জামান বলেন, তিনি বিধবা ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলে অবশ্যই তাকে কার্ড প্রদান করা হবে। আমি এখনি সমাজসেবা অফিসারকে বলে দিচ্ছি।
২০ বছর ধরে মানবেতর জীবনযাপন, বিধবা ভাতার জন্য দ্বারে দ্বারে বাসন্তী পরমান্য
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/