কোন এক মাহেন্দ্র ক্ষণে
এক বন্ধু পাখির ঠোঁট হতে,
পড়েছিলাম এই নির্জন তটিনী তীরে।
জেগে উঠলাম, নয়ন মেলে দেখলাম
অরুনাচলের শিশুসুলভ খেলা,
সূর্যের আলোয় ভিজলাম,
হাত বাড়ানোর চেষ্টা করলাম-
¯্রােতের কিনারায়।
বসুমাতার স্নিগ্ধ আদরে,
সূর্যের উষ্ণ কোমল পরশে,
আর অনন্ত প্রবাহের লালণে,
পালিত হতে থাকি পরম যতনে।
চারিপাশে কেউ নেই, আমার উল্লিখিত
অভিভাবকরা ছাড়া।
একদিন, যেদিন গগণে ঘন-কালো মেঘ,
দানবীয় মূর্তি ছান্দসিক ¯্রােতের,
ভুলে যাওয়া আধার, ঢেকে দিল
বেধেঁ নিল, আমার অভিভাবকদের।
আমি আতঁকে উঠি, ভীত সন্ত্রস্ত হই,
থরে কম্প হয়েও বাচাঁর সংগ্রাম করি।
একসময় তা-ব শেষ হয়,
ততক্ষণে, আমার হাত পা ছিড়ে যায়,
ভেঙ্গে যায় ঘর,
তবুও আশা, অক্ষত ফিরে এল তারা,
যাদের আশ্রয়ে লালিত হচ্ছি।
এখন আমি কিশোরী,
ফুল ফুটেঁছে শরীরে, মধুও এসেছে
অলীরা গুন গুন করে, চারিপাশে,
সূরেলা বাতাসেরা আলতো করে-
ছুয়েঁ যায় আমার লাজুক অঙ্গে।
আমি স্বপ্ন দেখতে শুরু করি, শান্তি-সুখের,
স্বপ্ন দেখি নতুন প্রজন্মের, পূর্ণতার।
কিন্তু আমার সে স্বপ্ন, চিরদিনের জন্য ভেসে যায়,
প্রকৃতির কোন এক, অসুস্থ লগ্নে
আমার লালণকারীরা ল–ভ- হয়ে যায়।
আমি এখন পড়ে আছি, শুকনো কাঠ হয়ে,
নদীর স্রোত প্রচ- বেগে কখনো-
আঘাত হেনে যায়, আমার নিথর মস্তকে
হয়ত একদিন মাটি হয়ে যাব, মিশে যাব
হারিয়ে যাব ¯্রােতের সাথে,
দূর-দূরান্তরে, সমুদ্রের তলদেশে।
………………………….
স্বপ্ন ভঙ্গের গল্প
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/