নাজমুল হক, পাটকেলঘাটা: পাটকেলঘাটার নগরঘাটায় বাণিজ্যিকভাবে মৌ চাষ করে সফল হয়েছেন আবুল কালাম নামের এক যুবক। সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মধু চাষে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে তার।
লেখাপড়া করে চাকুরি নামক সোনার হরিণের পিছনে না ছুটে মধু চাষের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করা পাটকেলঘাটার নগরঘাটার গ্রামের আবুল কালাম ২০০৮ সাল থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠে মাঠে মধু চাষ করছেন।
আবুল কালাম জানান, গত বছর মিঠবাড়ী গ্রামের সুলতানের আম বাগানে এক বিঘা জমিতে ১৫০টি কাঠের তৈরী মৌ বক্স নিয়ে মধু চাষ শুরু করেন। প্রতিটি বক্সের উচ্চতা ১৮ ইঞ্চি, চওড়া ২২ ইঞ্চি। প্রতিটি বক্সে এক ইঞ্চি অন্তর ৯/১০ টি ফ্রেম থাকে। প্রথম বছর এতে তার ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত ছয় মাস মৌ চাষ করে পরিবারের খরচ মিটিয়েও প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা সঞ্চয় করেন তিনি। আমের মৌসুমে আম বাগানে, বরুইয়ের মৌসুমে কুল বাগানে, সরিষার মৌসুমে সরিষার মাঠে এভাবে খেসারী, লিচু ইত্যাদির মৌসুমে মৌ বক্সগুলো মাঠে বসিয়ে দেন। আর তার বাক্সের মৌমাছিরা সংগ্রহ করে মধু। এসব বাক্স থেকে প্রতিদিন ২৫-৩০ কেজি মধু সংগ্রহ করেন তিনি। প্রতি কেজি মধু ৪০০-৪৫০ টাকা বিক্রি হয়। বর্তমানে তার সাথে মধু চাষে যুক্ত হয়েছে তার দুই বন্ধু আব্দুস সামাদ ও নুরুজ্জামান। তাদের সাথে নিয়ে কালিগঞ্জে একটি বরুই ক্ষেতে মৌ চাষ করছেন তিনি। সেখানে মধু সংগ্রহ শেষে খলিষা ফুল, কেওড়া, গরান ও বাইন গাছের মধু সংগ্রহের জন্য তারা সুন্দরবনে যাবেন।
মৌ চাষী আবুল কালাম জানান, মৌ চাষের মাধ্যমে আমার ভাগ্য খুলেছে। চাকুরির পিছনে না ঘুরে আমি যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে মধু চাষ শুরু করি। তারপর আর আমাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
মৌ বাক্সে মধুর হাসি
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/