Site icon suprovatsatkhira.com

বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিন: মীর মোস্তাক আহমদে রবি

শেখ হাসিনার সরকার বার বার দরকার, আওয়ামী লীগ সরকার বার বার দরকার। খুব শীঘ্রই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যা নিয়ে এখনই জনসাধারণের মাঝে নানা রকম আলোচনা চলছে। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন তারাও ভাবছেন কাকে ভোট দেবেন। তবে নতুন বা পুরাতন আপনি যে ভোটারই হোন না কেন আপনাদের উদ্দেশ্যে বলছি, বাংলাদেশ মানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের উন্নয়ন মানে শেখ হাসিনা, গণতন্ত্রের রাজনীতি মানে আওয়ামী লীগ আর অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতীক হল নৌকা। এ যাবতকালে বাংলাদেশে যত সরকার এসেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের মধ্যে সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী নারী প্রধানমন্ত্রী, অনুকরণীয় অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। আর তিনি তার সফলতার প্রমাণ রেখেছেন বাংলাদেশের সবর্ক্ষেত্রে।
তৃতীয়বারের মত দেশ পরিচালনা করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তার শাসনামলে দেশে রেকর্ড পরিমান উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মূল্যবোধ, কৃষি, অর্থনীতি, রেমিটেন্স ও বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। শুধু আর্থিক বা অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, দেশ থেকে জঙ্গীবাদ নির্মূল হয়েছে, বাল্য বিবাহসহ বিভিন্ন রকমের সামাজিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। যে দেশে মানুষের খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি ছিল সে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বর্তমানে রপ্তানি করছে। শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ এক দশক আগেও শিক্ষা ব্যবস্থার এত উৎকর্ষ লক্ষ্য করা যায়নি। এক সময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীচক্র টিটকারি করতো, বিরূপ মন্তব্য করতো। আর আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ এখন বাস্তবায়নের পথে। এখন আমরা একটি অগ্রসর জাতি।
শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাঁর কাজের স্বীকৃতি মিলেছে। বাংলাদেশের সফলতা ও নেতৃত্বগুণের জন্য তিনি বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন ও নানাবিধ সম্মানে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশের নাম বিশ্বব্যাপী উজ্জ্বল করেছেন। বিশ্বের প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ এখন শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে। বিশ্ব গণমাধ্যমে শেখ হাসিনা এখন বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত নেতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর শেখ হাসিনা ছাড়া এমন গুণাবলি সম্পন্ন আর কোনো নেতা বাংলাদেশের মানুষ পায়নি। এ কারণে তাঁর সাথে অন্য কোনো নেতার তুলনা চলে না, শেখ হাসিনা নিজেই নিজের তুলনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা সামনের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে আবার ক্ষমতায় আসবেন এই আশা বিশ্বের নেতাদের।
আমরা অনেক অতীত থেকে মুক্তি পেয়েছি। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের মাধ্যমে, আমাদের সৌভাগ্য আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছি। ৩য় বারের মত তিনি দেশ পরিচালনা করছেন। এদেশের মানুষের ভাগ্য ভাল তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে এসেছিলেন, তা না হলে একাত্তরের ঘাতক দালাল জামায়াতগোষ্ঠীকে আমাদের আজীবন সহ্য করতে হতো। বিএনপি জামায়াত জোট সরকারকে আজীবন ক্ষমতায় দেখতে হতো। বাংলাদেশ পাকিস্তানের মত জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত হত। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যদি আওয়ামী লীগের হাল না ধরতেন তবে আজকে দেশ অধোগতির চূড়ান্ত ধাপে দাঁড়িয়ে থাকতো- হেনরি কিসিঞ্জার এর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’তে পরিণত হত। তলাবিহীন ঝুড়ির সেই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
বাঙালি জাতির ভাগ্যোন্নয়নে জীবনকে উৎসর্গ করার নিমিত্তে শেখ হাসিনা সেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। কারণ তার ফিরে আসা এতো সহজ ছিল না। প্রবাসে যাওয়ারপূর্বে বাবা মা, ভাই সব ছিল। ফিরে এসে দেখলেন কেউ নেই। তৎকালীন সামরিক শাসকের বাধা জয় করে দেশে ফিরলেন, শোককে শক্তিতে পরিণত করলেন। শপথ নিলেন জাতির জনকের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার। আর কোন নেতার পক্ষে সব হারিয়ে এমন স্থির থাকা সম্ভব হতো কি না তা আমার জানা নেই। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধুর মতই ভালোবেসে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে এসেছেন। তিনি পরিবার হারিয়ে বাংলার মানুষকে পরিবার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। জীবন বাজি রেখে রাজনীতিতে আসা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকেও দেশের মানুষও ভালোবেসে বুকে জড়িয়ে নিয়েছেন। ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা মহান আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না। তার আর হারাবার কিছু নেই। তিনি বলেছেন, এদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে যদি আমার মৃত্যুও হয় তবুও আমি পিছপা হব না।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ দেশে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার এলে স্বাধীনতার চেতনা অক্ষুণœ থাকে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাড়ায়। মুক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত সম্মান দেয়া হয়। সেই সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গীবাদ, মাদক, বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ভোটের আগে সাধারণ জনগণকে এগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অক্ষুণœ ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০, ১৯৭১ সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। সফল হয়েছে। দেশ ও মানুষের জন্য বিগত ৭০ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকেছে, রক্ত দিয়েছে, দমন, পীড়ন, জেল জুলুম সহ্য করেছে। আগেই বলেছি আওয়ামী লীগের মত ঐতিহাসিক সাফল্যম-িত দল আর একটিও নেই এই দেশে। এ কারণে কেউ যদি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সফল নিবেদিত দলকে ভোট দিতে চান তবে আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আবার জনগণ যদি দেশের সবচেয়ে সফল নেতাকে ভোট দিতে চান তাহলে শেখ হাসিনাকেই ভোটটা দিতে হবে। দল ও দল প্রধান বিবেচনায় সচেতন বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ কোন ভাবেই আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কা ছাড়া অন্য কোন প্রতীকে ভোট দিতে পারবে না। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও জয়যুক্ত করুন। বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে এর কোন বিকল্প নেই। লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য, সাতক্ষীরা-২।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version