ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় নোটারি করতে এসে ধরা খেল বাল্যবিবাহের সাথে সংশ্লিষ্টরা। এ সময় বাল্যবিবাহটি বন্ধ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জজ কোর্ট চত্বরে এই বাল্য বিবাহ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এ সময় বিষয়টি জানাজানি হলে কন্যা, তার বড় বোন, বড় দুলাভাই ও খালাকে আটক করা হয়, তবে বর পালিয়ে যায়।
জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমান জানান, কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের খোরদো গ্রামের অষ্টর শ্রেণির এক ছাত্রীকে তার খালাতো ভাই শরিফ সরদারের সাথে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ ও রেজিস্ট্রির জন্য সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির এক আইনজীবীর কাছে নোটারি পাবলিক করতে আনলে সাধারণ জনগণ মেয়েটিকে দেখে বয়স কম বলে সন্দেহ করে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় মেয়েটি খোরদো সালেহা হক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। সে দুলাভাইয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করে। তার বোন জামাই থেকেই এই বিয়ের আয়োজন করেছে। কিন্তু তার বয়স ১৩ বছর আট মাস। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানালে বুঝতে পেরে পাত্র শরীফ পালিয়ে যায়। আটকে যায় মেয়েটিসহ তার স্বজনরা। এ সময় তারা মেয়েটির বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দেবে না মর্মে মুচলেকা দিয়ে রেহাই পান তারা।
নোটারি করতে গিয়ে ধরা, বাল্যবিবাহ বন্ধ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/